রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ডিএ মামলায় মূল দাবি ছিল যে ব্যাক-লগ অনুযায়ী বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। একটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে মামলা করা হয়েছিল। তাঁরা যে মামলা করেছিলেন, তাতে সুদ, গ্র্যাজুইটি বৃদ্ধি বা লিভ এনক্যাশমেন্টের কথা বলা হয়নি।
কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আমরা মামলা করেছি। আমাদের এই মামলার মধ্যে সুদের বিষয়টা নেই। এই মামলায় গ্র্যাজুইটি বৃদ্ধির কথা বলা নেই। লিভ এনক্যাশমেন্টের কথা বলা নেই।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্টে যেটা মান্যতা পেয়েছে, সেটা তো ট্রাইবুনালের (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা স্যাট) নির্দেশটা।’
তিনি বলেন, ‘স্যাট যেভাবে ডিএ দেওয়ার কথা বলেছিল, সেখানে কি সুদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল? সেখানে কি লিভ এনক্যাশমেন্টের কথা আছে? বেতন বাড়লে গ্র্যাজুইটি বাড়ে – সেখানে কি সেই কথা বলা আছে? বলা তো নেই। বলা তো যাবেও না। সেটা বলে যদি আমরা পিটিশন করতাম, তাহলে এই মামলায় আমাদের জয় আসত না। এটা তো স্বাভাবিক বিষয়।’

বিষয়টি নিয়ে কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়েছি। আর তাতে আমরা জয়যুক্ত হয়েছি।’ তাঁর আশা, আপাতত বকেয়া ডিএয়ের ২৫ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হলেও আগামী অগস্টে যখন শুনানি হবে, তখন বাকি ৭৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতাও দিতে বলবে সুপ্রিম কোর্ট। সেজন্য হয়তো কিছুটা বেশি সময় দেওয়া হবে রাজ্যকে।
সেইসঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএয়ের যে ২৫ শতাংশ পাওয়া যাবে, সেটার সঙ্গে সুদ মিলবে না। আইনজীবীরা বলেছিলেন যে সুদ, গ্র্যাজুইটি বা লিভ এনক্যাশমেন্টের জন্য মামলা করলে রাজ্য সরকার সেই দিকে চলে যেত। আরও দীর্ঘায়িত করতে পারত বকেয়া মহার্ঘ ভাতা।