পঞ্চম বেতন কমিশনের অধীনে বকেয়া ডিএ মেটানোর সময়সীমা প্রায় শেষ হওয়ার পথে। রাজ্য সরকারের হাতে বকেয়া ডিএ মেটানোর জন্য আর মাত্র ২ সপ্তাহের মতো আছে। এই আবহে চাপের মুখে নাকি বড় পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য। এই নিয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ২৭ জুনের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে সরকারকে। মোট বকেয়া ডিএ মেটাতে প্রা ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে রাজ্য সরকারের। এই আবহে রাজ্য সরকার এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধের জন্য ঋণের আবেদন করেছে বলে দাবি করা হয়েছে একাধিক রিপোর্টে।জানা গিয়েছে, রাজ্যের নিজস্ব তহবিলের পাশাপাশি বকেয়া ডিএ মেটাতে ঋণের সাহায্য নিতে চাইছে সরকার। এর আগে আদালতেও রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে গেলে তাদের বেহাল অবস্থা হতে পারে। তবে এখন যেভাবে হোক রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে মুখে হাসি ফুটবে লাখ লাখ সরকারি কর্মীর।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে আছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কর্মীদের বকেয়া ডিএ মামলা। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ সংক্রান্ত যে মামলাটি চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত। ২০১৬ সাল থেকে সেই মামলা চলছে। এই মামলাটি স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে এসেছে। প্রথমে স্যাটে জয় পেয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপর থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে জয় পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে যখন প্রথমবার ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল, তখন এই মামলার বিচারপতি ছিলেন জাস্টিন দীনেশ মাহেশ্বরী এবং জাস্টিস ঋষিকেশ রায়। এরপর এই মামলাটি তালিকাভুক্ত হয়েছিল জাস্টিস ঋষিকেশ রায় এবং জাস্টিস দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে। আবার ২০২৩ সালের মার্চ মাসে মামলাটি ওঠে জাস্টিস দীনেশ মাহেশ্বরী এবং জাস্টিস সঞ্জয় কুমারের এজলাসে। এরপর অবসর নেন জাস্টিস দীনেশ মাহেশ্বরী। তারপর বিচারপতি জাস্টিস ঋষিকেশ রায়ও অবসর নেন ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি। তবে এবার সুপ্রিম কোর্ট ডিএ মামলায় গতি এসেছে। তাই আশায় বুক বেঁধেছেন সরকারি কর্মীরা। আপাতত ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ পাওয়ার কথা তাঁদের