WB 5th Pay Commission DA Case in SC। ডিএ মামলায় ‘কোণঠাসা’ রাজ্য? 

Spread the love

ডিএ মামলা নিয়ে বছরের পর বছর এই আদালত থেকে ওই আদালত করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মীদের টাকা দিতে চেয়ে দামী দামী আইনজীবীদের পিছনে ‘খরচ’ করেছে রাজ্য সরকার। এই আবহে এবার মামলাকারী কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘আমরা রাজ্যকে বুঝিয়ে বলতে পারতাম। রাজ্যের সুবিধা মতোই কীভাবে টাকা দেওয়া যায়, তার পথ বাতলে দিতে পারতাম।’

পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী বকেয়া মহার্ঘ ভাতা ইস্যুতে মলয় মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, সরকারি কর্মীরা শুধু নিজেদের ডিএ নিয়েই ভাবেন না, রাজ্য সরকারের আর্থিক পরিস্থিতির কথাও মাথায় রাখেন তারা। তাঁর কথায়, ‘কর্মচারী সংগঠনের নেতৃত্ব আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র বের করতে ইচ্ছুক ছিল।’ তা হলে মামলার লাখ লাখ টাকা বেঁচে যেত সরকারের।

এই নিয়ে মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কর্মরতদের ক্ষেত্রে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা দেওয়া এবং অবসরপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে ১২টি মাসিক কিস্তিতে পেনশন-এর সাথে বকেয়া মেটানোর মতো বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই পথে না হেঁটে, বিষয়টি আরও জটিল করে তুলেছে এবং রায়ের ব্যাখ্যা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে, যা আদতে সময় নষ্ট করার কৌশল।’

বকেয়া ডিএ মেটানো নিয়ে মলয় মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘রোপা রুলস অনুযায়ী ডিএ প্রদানের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের অজানা নয়। তাই নতুন করে সেখানে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। সরকারের এই মনোভাবে কর্মীরা হতাশ। আলোচনার মাধ্যমে যে সমস্যার সমাধান সম্ভব ছিল, সরকার একতরফাভাবে তা আইনি লড়াইয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, রাজ্যের এই একতরফা সিদ্ধান্তের ফলে একদিকে যেমন সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে, তেমনই রাজ্যের কোষাগারের ওপর আইনি লড়াইয়ের বাড়তি চাপ পড়ছে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে আছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কর্মীদের বকেয়া ডিএ মামলা। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ সংক্রান্ত যে মামলাটি চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত। ২০১৬ সাল থেকে সেই মামলা চলছে। এই মামলাটি স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে এসেছে। প্রথমে স্যাটে জয় পেয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপর থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে জয় পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *