WB 5th Pay Commission DA Case in SC। সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলায় অবশেষে এল ‘সুখবর’

Spread the love

আজ দেশের সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের ডিএ শুনানি হওয়ার কথা থাকলে তা ফের একবার পিছিয়ে যায়। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ডিএ মামলাটি তালিকাভুক্ত ছিল। গত আড়াই বছরে এই নিয়ে মামলাটি ১৮ বার পিছিয়ে গেল।

এদিকে মামলা পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে আজ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আজ দুপুর ২টোর সময় ডিএ মামলাটা ছিল। আমরা সকলেই হাজির ছিলাম। কিন্তু বিশেষ কারণে কোর্টের একটু অসুবিধা থাকায় হল না। এবং আমাদের অনুরোধে আগামী শুক্রবার দিন মামলাটির শুনানি হবে। আর এই মামলা স্থগিত করা হবে না। আমাগী শুক্রবার এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।’

এরপর ডিএ মামলা এবং আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে বিকাশরঞ্জন বলেন, ‘আমি জানি, বারংবার মামলা এভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে, হচ্ছে না। প্রচন্ড অসুবিধা হচ্ছে আমাদের। আমরা যারা কলকাতা থেকে আসি। আমি বুঝতে পারছি প্রচন্ড চাপ হচ্ছে আমাদের আন্দোলনের নেতাদের ওপর। খরচের বোঝা বইতে হচ্ছে। তবে সব শ্রমিক কর্মচারীরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই মামলার জন্যে যেন বোঝাপড়া তৈরি করেন।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে আছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কর্মীদের বকেয়া ডিএ মামলা। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ সংক্রান্ত যে মামলাটি চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত। ২০১৬ সাল থেকে সেই মামলা চলছে। এই মামলাটি স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে এসেছে। প্রথমে স্যাটে জয় পেয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপর থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে জয় পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

২০২২ সালে যখন প্রথমবার ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল, তখন এই মামলার বিচারপতি ছিলেন জাস্টিন দীনেশ মাহেশ্বরী এবং জাস্টিস ঋষিকেশ রায়। এরপর এই মামলাটি তালিকাভুক্ত হয়েছিল জাস্টিস ঋষিকেশ রায় এবং জাস্টিস দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে। আবার ২০২৩ সালের মার্চ মাসে মামলাটি ওঠে জাস্টিস দীনেশ মাহেশ্বরী এবং জাস্টিস সঞ্জয় কুমারের এজলাসে। এরপর ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ সালের ডিএ শুনানি শেষবারের মতো উঠেছিল এই এজলাসে। এরপর অবসর নেন জাস্টিস দীনেশ মাহেশ্বরী। এবার এই মামলার বিচারপতি পদে থাকা জাস্টিস ঋষিকেশ রায় অবসর নেন ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি।

এর আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মমালার সঙ্গে অন্যন্য ভাতার বিষয়টিও যুক্ত হয়েছিল এবং মামলাটি ‘এক্সটেন্সিভ হিয়ারিং’ পর্যায়ে ছিল। এই আবহে গত ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই ডিএ মামলার শুনানির পর আদালতের নির্দেশনামায় বলা হয়েছিল, মামলার আবেদনের বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। এই আবহে মামলাটির শুনানির জন্যে জানুয়ারির মাসের ৭ তারিখের দিনটি ধার্য করেছিলেন জাস্টিস ঋষিকেশ রায় এবং জাস্টিস এস ভাট্টি। সেদিনও অবশ্য মামলাটি পিছিয়ে গিয়েছিল। এরপর নতুন এজলাসে মামলা স্থানান্তরিত হয়। তারপরও মামলা পিছিয়েই চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *