নেতাজি ইন্ডোরে বিজেপির সাংগঠনিক নেতৃত্বের সম্মেলনে শাহ বলেন, ‘দিদি, আপনার সময় ফুরিয়ে গিয়েছে। ২০২৬ সালে (পশ্চিমবঙ্গে) ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গঠিত হবে। এখানে বসে থাকা হাজার-হাজার মণ্ডল সভাপতির কাছে আমি প্রতিজ্ঞা করে বলছি যে এখানে তৃণমূলের সরকার চলে গেলেই আমাদের কর্মীদের হত্যাকারীদের পাতাল থেকেও খুঁজে বের করব এবং শাস্তি দেওয়ার কাজ করব।’
সেখানেই থামেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিধানসভা ভোটের মাসকয়েক আগে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে শাহ বলেন, ‘গণতন্ত্রে হিংসা কখনও কাম্য নয়। দিদি, সাহস থাকলে হিংসা ছাড়া, রিগিং ছাড়া নির্বাচন করিয়ে দেখুন। আপনারই জামানত বাংলার মানুষ জব্দ করে দেবেন।’
আর সেই মন্তব্য নিয়ে পালটা শাহকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল ভবনে দুই সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদারদের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পালটা দাবি করেছেন, বিধানসভা ভোট করানোর দায়িত্ব থাকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপরে। রাজ্য সরকার তো ভোট করানোর দায়িত্ব থাকে না।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) চন্দ্রিমা আরও দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনের সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই রেশ ধরে তৃণমূল নেত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ কি স্বীকার করে নিলেন যে নিজের হাতে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীই হিংসা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়?

সেইসঙ্গে শাহ যে বলেছেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতা দখল করবে, সেই দাবিও উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বারাসতের সাংসদ কাকলি দাবি করেছেন, গায়ের জোরে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চনা করছে বিজেপি সরকার। আর ২০২৬ সালে ২৯৪টি আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গে ২৫০-র গণ্ডি পার করে ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূল। অর্থাৎ হাফ-সেঞ্চুরিও করতে পারবে না বিজেপি।