স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মামলা- একের পর এক ঘটনায় বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে প্রবল চাপে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। তারপরও তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য আশাপ্রকাশ করেছেন যে ২০১১ সাল, ২০১৬ সাল এবং ২০২১ সালে প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে ঘাসফুল শিবির।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি এবং চেয়ারপার্সনদের তালিকা প্রকাশের পরে দেবাংশু বলেন, ‘সকলকে অভিনন্দন। এই টিম ২০২৬ সালে ২২৬ পার করুক..।’ উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জোট বেঁধে লড়েছিল তৃণমূল। এককভাবে পেয়েছিল ১৮৪টি আসন। ২০১৬ সালে ২১১টি আসন জিতেছিল। আর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা ছিল ২১৩টি।
আর দেবাংশু যেদিন সেই আশাপ্রকাশ করেছেন, সেদিন সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা মহার্ঘ ভাতা) মামলায় জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী অগস্টে। সেইসময় বাকি ৭৫ শতাংশ ডিএয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএয়ের ৫০ শতাংশ মিটিয়ে দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়, একসঙ্গে এত পরিমাণ বকেয়া ডিএ দিতে গেলে রাজ্যের কোমর ভেঙে যাবে। সেই পরিস্থিতিতে আপাতত ২৫ শতাংশ ডিএ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ডিএ মামলায় যখন রাজ্য ধাক্কা খেয়েছে, তখন এসএসসি মামলায় দুর্নীতির জেরে চাকরিচ্যুত হয়েছেন প্রায় ২৬,০০০ জন। আর বৃহস্পতিবার মেন গেট ভেঙে বিকাশ ভবনে ঢুকে পড়েন চাকরিহারারা। তাঁদের উপরে লাঠিচার্জও করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, যথেষ্ট সংযম দেখানো হয়েছিল। তারপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।