কোল্ড ড্রিঙ্কস বা ঠান্ডা পানীয়, কসমেটিক্স (প্রসাধনী সামগ্রী) থেকে চকোলেট, বিস্কুট, গাড়ি – এরকমই সব ব্রিটিশ পণ্য সস্তায় পাওয়া যাবে ভারতে। কারণ ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে গড় শুল্কের পরিমাণ ১৫ শতাংশ কমে তিন শতাংশের মতো হয়ে গিয়েছে। আবার ভারত থেকে পাঠানো বিভিন্ন পণ্যের উপরে ব্রিটেন যে আমদানি শুষ্ক চাপাত, তা অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ভারত স্কচের আমদানি শুল্ক অর্ধেক করে দিচ্ছে। ফলে ব্রিটেন থেকে আসা স্কচ আরও সস্তায় মিলবে ভারতে। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এতদিন স্কচের উপরে আমদানি শুষ্ক ছিল ১৫০ শতাংশ। সেটা একধাক্কায় কমে ৭৫ শতাংশ হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী ১০ বছরে সেটা কমে ৪০ শতাংশে ঠেকবে। অর্থাৎ যাঁরা স্কচ পছন্দ করেন, তাঁদের সুদিন এসে গিয়েছে।
আবার বাণিজ্য চুক্তির কারণে ব্রিটেনে থাকা প্রবাসী ভারতীয়রাও লাভবান হবেন। বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী, নয়া ভিসার রুট চালু করা হচ্ছে। তার ফলে যোগ, শাস্ত্রীয় সংগীত, শেফের মতো ব্রিটেনের সাংস্কৃতিক এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বছরে ১,৮০০ জন পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন। চুক্তিভিত্তিক পদে কাজ করলেও বা নিজস্ব সংস্থা চালালেও সেই সুবিধা পাবেন।তথ্যপ্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং, স্থাপত্যের মতো ক্ষেত্রে স্বাধীন পেশাদার এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের ১২ মাস পর্যন্ত ব্রিটেনে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। শুধু তাঁদের ব্রিটেনের অভিবাসন নীতির শর্ত পূরণ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। আবার ভারতীয় সংস্থার সিনিয়র কর্মচারী এবং গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিরা তিন বছর পর্যন্ত ব্রিটেনে থাকতে পারবেন।

পশ্চিমবঙ্গের কী কী লাভ হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-ব্রিটেনের বাণিজ্য চুক্তির ফলে বিভিন্ন রাজ্যের নানাবিধ দ্রব্যের রফতানির পথ আরও প্রশস্ত হবে। পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে বালুচরী শাড়ি, দার্জিলিং চা, নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল, শান্তিনিকেতনের চামড়ার সামগ্রীর সামনে নয়া সুযোগ উন্মোচিত হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।