রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রদত্ত হিসাব অনুযায়ী, গ্রুপ ‘এ’ কর্মচারীদের মাথাপিছু বকেয়া মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ হল ৭-৮ লাখ টাকা। গ্রুপ ‘বি’ কর্মীদের ক্ষেত্রে সেই অঙ্কটা ৫ লাখ টাকার মতো। গ্রুপ ‘সি’ কর্মচারীদের বকেয়ার পরিমাণ ৩.৫ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যে থাকবে। গ্রুপ ‘ডি’ কর্মীদের ক্ষেত্রে সেই অঙ্কটা হল ১.২৫ লাখ টাকা থেকে ২.৫ লাখ টাকা।
সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ অর্থ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। অর্থাৎ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো গ্রুপ ‘এ’, গ্রুপ ‘বি’, গ্রুপ ‘সি’ এবং গ্রুপ ‘ডি’ কর্মচারীদের মোট যে পরিমাণ বকেয়া আছে, আপাতত সেটার ২৫ শতাংশ পাবেন।
বাকি বকেয়ার বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে আগামী অগস্টে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তখন পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মেটাতে গেলেই রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে ১০,০০০ কোটি টাকার মতো বেরিয়ে যাবে। আর সেই টাকাটা কোথা থেকে জোগাড় করা হবে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন আছে। একগুচ্ছ সামাজিক প্রকল্প চলছে। সেই পরিস্থিতিতে অন্য কোন খরচে রাশ টেনে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটানো হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনিতে রাজ্য সরকারের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় পুরো ডিএ মেটাতে রাজ্যের কোষাগার থেকে ৪১,৭৭০.৯৫ কোটি টাকার মতো বেরিয়ে যাবে। ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত মোট বকেয়ার অঙ্ক হল ৩,৪৫১ কোটি টাকার মতো। ২০০৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া মেটাতে খরচ হবে ৩৮,৩১৯.৯৫ কোটি টাকা।