সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে রাজ্য সরকার ঋণ নিয়েছে বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে। যদিও তাঁদের বকেয়া ডিএ মেটাতে রাজ্য সরকারের ঋণ নেওয়ার কোনও প্রয়োজনই ছিল না বলে দাবি করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নেতারা। তাঁদের দাবি, ভোটের আগে সরকারি কর্মচারীদের ভিলেন বানানোর চেষ্টা করছে রাজ্য।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার বলেছেন, ‘সাসপেন্স এবং মিসলেনিয়াস অ্যাকাউন্টে হেডে ১১.৬৫ লাখ কোটি টাকা রয়েছে। (সেই পরিস্থিতিতে) মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার জন্য (রাজ্য সরকারের) ঋণ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’ তাঁর বক্তব্য, বকেয়া ডিএ দিতে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন, তার থেকে অনেক বেশি অর্থ আছে রাজ্যের কাছে।
এমনিতে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের তরফে যে পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে, তাতে পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে ৪০,০০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। আর সেই হিসাবে ২৫ শতাংশ ডিএ মেটাতে খরচের অঙ্কটা ১০,০০০ কোটি টাকা পেরিয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) মাত্র ২৫ শতাংশ দিতেই রাজ্য যে ঋণ নিচ্ছে, সেটার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাথায় একটি ভ্রান্ত ধারণা ঢুকিয়ে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।
তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার বোঝানোর চেষ্টা করছে যে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন বন্ধ রেখে ঋণ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মেটাচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না বলে জানিয়েছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর মতে, ‘(রাজ্যের) চালাকি কর্মচারী সমাজ বুঝে গিয়েছে৷’