কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, ধরা যাক, কোনও কর্মচারী ২০০৯ সালের ১ জুলাইয়ে চাকরিরত ছিলেন এবং ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করছিলেন, তাহলে তিনি পুরো বকেয়া ডিএ পাবেন। এখানে কোনও সমস্যা নেই। যে বেসিক স্যালারি আছে, সেটার ভিত্তিতে মহার্ঘ ভাতার হিসাব করা হবে। আর ওই কর্মচারীরা বকেয়া মহার্ঘ ভাতা পাবেন।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগেই অবসর নিলে কী হবে? তিনি জানিয়েছেন, ধরা যাক, ২০০৯ সালের ১ জুলাইয়ে চাকরি করছিলেন কোনও কর্মচারী। কিন্তু তিনি দু’বছর পরে বা তিন বছর পরে, পাঁচ বছর পরে অবসর নিয়েছেন, তাহলেও সেই পরিমাণ বেসিকের উপরে বকেয়া ডিএ পাবেন। আদতে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যেদিন অবসর নিয়েছেন, ততদিন পর্যন্ত বকেয়া ডিএয়ের হিসাব করা হবে।
অবসরগ্রহণের পরে পেনশনের নিরিখে বকেয়া ডিএয়ের (ডিয়ারনেস রিলিফ আদতে) হিসাব করা হবে বলে জানিয়েছেন কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মচারী যেদিন অবসর গ্রহণ করেছেন, সেদিন থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই হিসাব করা হবে। আর সেটার নিরিখেও সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (আদতে ডিআর) পাবেন বলে জানিয়েছেন কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।

আবার কোনও কর্মচারী যদি ২০০৯ সালের ১ জুলাইয়ের আগে অবসর গ্রহণ করেন, তাহলেও তিনি বকেয়া পাবেন। কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, অবসরকালীন বেসিকের নিরিখে বকেয়া ডিএয়ের হিসাব করা হবে। সেই অবসরকালীন বেসিকের নিরিখে ২০০৯ সালের ১ জুলাইয়ে চাকরিরত ছিলেন এবং ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়ার হিসাব করা হবে। আর সেটা পাবেন অবসরপ্রাপ্তরা।
তবে আপাতত পুরো ১০০ শতাংশ বকেয়া ডিএ মিলবে না। আপাতত সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেজন্য ছয় সপ্তাহের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় যে ১০০ শতাংশ ডিএ বকেয়া আছে, সেটার পুরোটাই রাজ্য সরকারকে দিতে হবে কিনা, তা নিয়ে আগামী অগস্টে শুনানি হবে।