রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, তা আপাতত প্রত্যাহার করে নিল নবান্ন। বুধবার রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারীদের ছুটি বাতিল নিয়ে গত ৭ মে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, তা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রদ করা হচ্ছে।
আসলে অপারেশন সিঁদুরের পরবর্তী সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, স্বাস্থ্যগত বিষয় ছাড়া অন্য কোনও কারণে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের যে ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে, তা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। নিজের দফতরের প্রধানের লিখিত অনুমতি ছাড়া রাজ্য সরকারের কোনও কর্মী নিজেদের সদর দফতর ছেড়ে যেতে পারবেন না। পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত সেই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।
কিন্তু মে’তেও সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হয়নি। যা নিয়ে আপত্তি জানান রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ২০ মে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হয়ে গিয়েছে। সংঘাতের পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই আবহে ১৪ মে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে সরকারি কর্মচারীরা আগের মতোই প্রয়োজনীয় ছুটি নিতে পারবেন না। রাজ্য সরকারও যাতে সেই পথে হাঁটে, সেই আর্জি জানায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।

একইভাবে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ, সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম, পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন এবং নার্সেস ইউনিটের তরফে যৌথভাবে রাজ্য সরকারকে একটি চিঠি দিয়ে দাবি করা হয়, ৭ মে’র নির্দেশিকার কারণে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা চূড়ান্ত সমস্যায় পড়ছেন। তাই সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হোক। অবশেষে আজ সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করল রাজ্য।
এমনিতে রাজ্য সরকার এখন যথেষ্ট চাপে রয়েছে। কারণ পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) মিটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট যে ছয় সপ্তাহের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে, ইতিমধ্যে তার প্রায় অর্ধেক সময় কেটে গিয়েছে। রাজ্যের পেশ করা হিসাব অনুযায়ী, বকেয়া ডিএয়ের ২৫ শতাংশ মেটাতে ১০,০০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে।