এই নিয়ে তৃতীয়বার দেশে সর্বোচ্চ জিএসটি সংগ্রহের রেকর্ড ভাঙল। মে মাসে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) সংগ্রহ ১৬.৪ শতাংশ বেড়ে ২.০১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি হয়েছে। এর আগে এপ্রিলে সংগ্রহ ২.৩৭ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের এপ্রিল-মে ত্রৈমাসিকে মোট জিএসটি রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ৪,৩৭,৭৬৭ কোটি টাকা। গত বছরে একই সময়ে এই পরিসংখ্যান ছিল ৩,৮৩,০০৬ কোটি টাকা। এই আবহে এবারে জিএসটি সংগ্রহ বেড়েছে ১৪.৩ শতাংশ।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২২ লক্ষ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৯.৪ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মোট গ্রস রেভিনিউ ছিল ২০.১৮ লক্ষ কোটি টাকা। মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুর মতো বড় রাজ্যগুলিতে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ১৭ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানার মতো বড় রাজ্যগুলিতে ৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে জিএসটি সংগ্রহ। এদিকে মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং রাজস্থানের মতো কয়েকটি রাজ্যে জিএসটি সংগ্রহ গড়ে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, জিএসটি সংগ্রহে বৃদ্ধির হারের ক্ষেত্রে গুজরাটকে পিছনে ফেলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

২০২৪ সালের মে মাসে, জিএসটি সংগ্রহ ছিল ১,৭২,৭৩৯ কোটি টাকা। সেই তুলনায় ২০২৫ সালের মে মাসে জিএসটি আদায় বেড়েছে ১৬.৪ শতাংশ। তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে দেশীয় লেনদেন থেকে মোট জিএসটি রাজস্ব ১৩.৭ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১.৫০ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে, যেখানে আমদানি থেকে জিএসটি রাজস্ব ২৫.২ শতাংশ বেড়ে ৫১,২৬৬ কোটি টাকা হয়েছে।মে মাসে কেন্দ্রীয় জিএসটি রাজস্ব ছিল ৩৫,৪৩৪ কোটি টাকা, রাজ্য জিএসটি রাজস্ব ছিল ৪৩,৯০২ কোটি টাকা এবং ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি সংগ্রহ ছিল প্রায় ১.০৯ লক্ষ কোটি টাকা। সেস থেকে আয় হয়েছে ১২,৮৭৯ কোটি টাকা। এদিকে জিএসটি বৃদ্ধির কারণগুলি হল – ভারতের বাজার শক্তিশালী হয়েছে, পরিষেবা ও উৎপাদন ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেয়েছে, ই-চালান বৃদ্ধি পয়েছে, নতুন করদাতা বৃদ্ধি পেয়েছে, ডিজিটাইজেশন এবং স্বচ্ছতা বেড়েছে।