পশ্চিমবঙ্গে চারটি নয়া তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক (আইটি পার্ক) গড়ে তুলছে রাজ্য সরকার। সেগুলির মধ্যেই তিনটি গড়ে তোলা হবে উত্তরবঙ্গে। কার্শিয়াঙের প্রস্তাবিত আইটি পার্কের নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে জোরকদমে চলছে। কালিম্পঙের আইটি পার্কের জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। জলপাইগুড়ির প্রস্তাবিত আইটি পার্ক নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা চলছে। আর চতুর্থ আইটি পার্কটি হুগলির চুঁচুড়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে।
বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, ‘উত্তরবঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো গড়ে তোলার উপরে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করছি। শিলিগুড়িতে তিনটি আইটি পার্ক আছে। আর তিনটিই পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যা উত্তরবঙ্গে আরও তিনটি আইটি পার্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের উৎসাহ জুগিয়েছে।’
সেইসঙ্গে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তিম মন্ত্রী বলেছেন, ‘কার্শিয়াঙে আইটি পার্ক তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গোর্খা টেরটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে (জিটিএ)। পুরোদমে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। কালিম্পঙের আইটি পার্কের জন্য ডেলোর কাছে একটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। জলপাইগুড়িতেও একটি আইটি পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছি আমরা।’

বাবুল জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে আপাতত ২২টি আইটি পার্ক আছে। তাতে সেগুলি মোটামুটি ৮০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ ভরতি হয়ে গিয়েছে। প্রতিটির দায়িত্বে আছে ওয়েবেল। সেইসঙ্গে বাবুলের দফতরের অ্যাডমিশনার চিফ সেক্রেটারি অনুপকুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন, সোনারপুরে একটি হার্ডওয়্যার পার্ক তৈরি করা হয়েছে। আর জমি বণ্টনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।তারইমধ্যে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কস অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তা মনোজিৎ নায়েক ইঙ্গিত দিয়েছেন, এক-দু’মাসের মধ্যে গ্লোবাল ফাউন্ডারিজ কাজ শুরু করবে। অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের (নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি) ভাইস-চেয়ারম্যান তথা মার্লিন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন, সাকেত মোহতা জানিয়েছেন, সল্টলেকের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ফলে ৩০,০০০ চাকরি তৈরি হবে। বিনিয়োগ হবে কোটি-কোটি টাকা।