সন্ত্রাস-সম্পর্কিত একটি মামলায় জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ৮টি রাজ্যে তল্লাশি চালায় ৩১ মে। জানা গিয়েছে, দিল্লি, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং অসমের ১৫টি স্থানে তল্লাশি চালায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল।
এনআইএ গোয়েন্দারা জানান, পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স অপারেটিভস (PIOs)-এর সাথে যুক্ত সন্দেহভাজনদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল ৩১ মে। তল্লাশির সময় এনআইএ দলগুলি বেশ কিছু ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং সংবেদনশীল আর্থিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল। পাশাপাশি অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত জিনিসপত্রও জব্দ করা হয়েছে এই তল্লাশি অভিযানে।
ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পাকিস্তান-ভিত্তিক কর্মীরা এই গুপ্তচরবৃত্তির চক্র পরিচালনা করত। সেই সংক্রান্ত তদন্তের সূত্র ধরেই এই ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। এনআইএ-র তদন্ত অনুসারে, এই তল্লাশিতে যাদের ‘নিশানা’ করা হয়েছে, তাদের পাকিস্তানি অপারেটিভদের সাথে যোগাযোগ ছিল। ভারতে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য আর্থিক সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করত এই সব অভিযুক্ত।

২০২৩ সাল থেকে পিআইওদের সাথে সংবেদনশীল তথ্য ভাগ করে নেওয়া এবং জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছিল এক গুপ্তচরের বিরুদ্ধে। এর পরিবর্তে ভারতের বিভিন্ন মাধ্যমে তহবিল পাচ্ছিল সেই অভিযুক্ত। তাকে গ্রেফতারের পর ২০ মে এনআইএ আরসি- ১২/২০২৫/এনআইএ/ডিএলআই মামলাটি নথিভুক্ত করেছিল। সেই মামলার ভিত্তিতেই গতকালকের এই তল্লাশি অভিযান।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬১(২), ১৪৭, ১৪৮ নং ধারা, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩-র ধারা নং ৩ ও ৫ এবং ইউএ(পি) অ্যাক্ট ১৯৬৭-র ধারা নং ১৮-র অধীনে নথিভুক্ত হয়েছে এই মামলা। এই আবহে সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থাটি মামলাটির তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই মামলার জাল কতটা বিস্তৃত, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে এর নির্দিষ্ট যোগ কী, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।