সাম্প্রতিককালে পশ্চিম এবং উত্তরের বহু রাজ্য থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। তবে এর মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, অনেক পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিকে ভুল করে বাংলাদেশে পুশব্যাক করেছে বিএসএফ। এমনই একজন হলেন মুস্তাফা কামাল। বাড়ি মন্তেশ্বরে হলেও বিগত দীর্ঘ সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্মসূত্রে তিনি মুম্বইকে থাকতেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালে মন্তেশ্বরে কুলুট গ্রামে নিজের বাড়ি ছেড়ে কাজ করতে মুম্বইতে গিয়েছিলেন মুস্তফা কামাল। সেখানে তিনি ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। সেই মুস্তফাকেই সম্প্রতি বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছিল মুম্বইতে। পরে তাকে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল বিএসএফ।
তবে শীঘ্রই ভুল বুঝতে পারে বিএসএফ। এরপর সীমান্তরক্ষী বাহিনী মুস্তাফা কামালকে ভারতে ফিরিয়ে আনে। সম্প্রতি কুলুট গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন মুস্তাফা। বাড়ি ফিরে তিনি বলেন, ‘গত ৯ জুন মুম্বইতে আমার ঘরে আসে পুলিশ। আমাকে জিজ্ঞাসা করে, তোমার বাড়ি কোথায়? আমি বলি, পশ্চিমবঙ্গ। তখন পুলিশ আমারে পরিচয়পত্র নিয়ে পুলিশ চৌকি যেতে বলে। আর মোবাইলটা দাও। আমি মোবাইলটা পুলিশকে দিয়ে দিই। তারা আমাকে পুলিশ চৌকিতে নিয়ে যায়। ২ দিন পুলিশ চৌকিতে ছিলাম। তারপর বিএসএফের শিবিরে নিয়ে যায়। বিএসএফ ফ্লাইট করে আমাদের ত্রিপুরায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমাদের ওপারে পাঠানো হয়।’

মুস্তাফা দাবি করেন, সীমান্ত দিয়ে ওপারে ঠেলে দেওয়ার সময় তাদের হাতে ৩০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। পরে বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের ধরার পর আবার পরিচয়পত্র যাচাই করে। তারপর তাদের নো-ম্যানস ল্যান্ডে নিয়ে এসে ছেড়ে দেয়। এরপর বিএসএফের এক আধিকারিক সেখানে এসে মুস্তাফাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান।