নিজেদের ভুল শুধরে নিল ওড়িশা। বাংলাদেশি ভেবে পশ্চিমবঙ্গের যে সব পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করা হয়েছিল, তাদের অধিকাংশকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সমিরুল ইসলাম নিজেই। জানা গিয়েছে, ৪০৩ জন বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিককে ছেড়ে দিয়েছে ওড়িশা সরকার।
জানা গিয়েছে, ৪৪৭ জন বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিককে ওড়িশা সরকার আটক করেছিল সম্প্রতি। তাঁদের মধ্যে থেকে অধিকাংশকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছাড়া পাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশিরভাগই বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার। এদের আটক করেছিল ওড়িশার ঝাড়সুগুড়ার পুলিশ।
তৃণমূলের অভিযোগ, বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার নাম করে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের বেআইনিভাবে আটক করে বিজেপি শাসিত ওড়িশা সরকার। এই আবহে বাংলার ক্ষমতাসীন দল আটক শ্রমিকদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছিল।

জানা যায়, গত ৭ জুলাই ঝাড়সুগুড়া জেলার বাংলাভাষী শ্রমিকদের আবাসিক এলাকায় অভিযান চালায় ওড়িশা পুলিশ। ৪০০-র বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছিল সেই অভিযানে। সন্দেহ করা হয়েছিল, তারা অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। উল্লেখ্য, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে অনেক শ্রমিকরা ওড়িশায় যান কাজ করতে। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই সব শ্রমিকদেরই বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে আটক করা হচ্ছে। এই আবহে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ওড়িশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বলেছিল।আটক শ্রমিকদের পরিবারগুলি দাবি করে যে তাদের কাছে আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি কার্ডের মতো সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি ছিল। তবে ওড়িশা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, আটক হওয়া ব্যক্তিদের কাছে বাসস্থান বা নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তিনি আরও বলেন, পুলিশ কোনও সম্প্রদায় বা এলাকাকে টার্গেট করছে না, শুধুমাত্র দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। পরে নিজেদের ‘ভুল’ বুঝতে পেরে তা শুধরে নিল ওড়িশা।