সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চার সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই আবহে কী বললেন রাজ্য সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য? ডিএ নির্দেশ নিয়ে আজ মন্ত্রী বললেন, ‘ডিএ মামলার সুপ্রিম নির্দেশিকা এখনও হাতে পাইনি। পাওয়ার পর যা বলার বলব।’
এর আগে আজ ডিএ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, এই ক’দিনের মধ্যে বকেয়ার মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ দিতে হলে রাজ্যকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে। এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক বোঝায় রাজ্যের কোমর ভেঙে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তবে শীর্ষ আদালত তাঁর সেই কথায় কর্ণপাত করেনি।
এদিকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে সওয়ালকারী আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে বলেন, মহার্ঘ ভাতা মৌলিক অধিকার নয়, সেটা ঠিকই। কিন্তু মনে রাখতে হবে সংবিধানের ৩০৯ নম্বর ধারার ভিত্তিতে রোপা রুল তৈরি হয়েছিল। অর্থাৎ এর সাংবিধানিক বৈধতা রয়েছে। এই আবহে রাজ্যের উদ্দেশে ২৫ ডিএ মেটানো নিয়ে বিচারপতি সঞ্জয় কারোল বলেন, ‘এরা আপনাদের কর্মী, ফলে অসুবিধার কোনও কারণ নেই।’

মামলার নির্দেশের পরে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘৫০ শতাংশ ডিএ দিতে বলেছিল আদালত। রাজ্যের আইনজীবী জানান, এই পরিমাণ ডিএ দিতে হলে রাজ্য সরকারের কোমর ভেঙে যাবে। অনেক দিন আগেই অবশ্য এই সরকারের কোমর ভেঙে গিয়েছে। যা-ই হোক, বিচারপতি জানান, অন্তত ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে হবে। কর্মচারীরা এত দিন ঘুরছিলেন। আশার কথা, এই রায়ের পর সামান্য কিছু হলেও রাজ্য সরকারি কর্মীরা তাঁদের অধিকারের স্বীকৃতি পেলেন।’ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ১ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ডিএ বকেয়া রয়েছে। সেই সময় থেকে বকেয়া হিসাব করতে হবে।