WB Topper in JEE Advanced। মাধ্যমিকে প্রথম! JEE অ্যাডভান্সডে মেয়েদের মধ্যে সেরা কাটোয়ার দেবদত্তা

Spread the love

মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন। সর্বভারতীয় জয়েন্টের (জেইই মেন) দ্বিতীয় সেশনে প্রথম হয়েছেন। আর এবার জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় আইআইটি খড়্গপুরে জোনে প্রথম স্থান অধিকার করলেন দেবদত্তা মাঝি। সেইসঙ্গে সর্বভারতীয় স্তরে মহিলাদের প্রথম হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেয়ে। ৩৬০ নম্বরের মধ্যে তিনি ৩১২ পেয়েছেন। আর কমন র‌্যাঙ্ক লিস্টে তাঁর নাম ১৬ নম্বরে আছে।

দেবদত্তার দুর্দান্ত কেরিয়ার

১) ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন দেবদত্তা। ৭০০-র মধ্যে ৬৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানি গার্লস হাইস্কুলের মেয়ে। মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর সঙ্গে তাঁর নম্বরের ফারাক ছিল ছয়।

২) ২০২৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন দেবদত্তা। ৫০০-র মধ্যে পেয়েছেন ৪৯২ নম্বর। ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেন। পুরোদমে জেইই মেন পরীক্ষার প্রস্তুতির মধ্যেই উচ্চমাধ্যমিকে যে দুর্দান্ত ফল করেন দেবদত্তা, তা থেকে সহজেই বোঝা যায় যে তিনি কতটা মেধাবী।

৩) জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার (মেন) প্রথম সেশনে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তাঁর প্রাপ্ত পার্সেন্টাইল হল ৯৯.৯৯৯২১।

৪) জেইই মেনের দ্বিতীয় সেশনের পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এনটিএ স্কোর ছিল ১০০।

IIT খড়্গপুর জোনের টপারদের তালিকা

১) দেবদত্তা মাঝি

২) হংস দারুকা।

৩) অরিত্র রায়।

৪) সাম্যজ্যোতি বিশ্বাস।

৫) নবনীত প্রিয়দর্শী।

কমন র‌্যাঙ্ক লিস্টের প্রথম ১০ প্রার্থীর নাম

১) রজিত গুপ্তা: ৩৩২ নম্বর।

২) সক্ষম জিন্দল: ৩৩২ নম্বর।

৩) মাজিদ মুজাহিদ হুসেন: ৩৩০ নম্বর।

৪) পার্থ মন্দর বর্তক: ৩২৭ নম্বর।

৫) উজ্জ্বল কেশরী: ৩২৪ নম্বর।

৬) অক্ষত কুমার চৌরাশিয়া: ৩২১ নম্বর।

৭) সাহিল মুকেশ দেও: ৩২১ নম্বর।

৮) দেবেশ পঙ্কজ ভাইয়া: ৩১৯ নম্বর।

৯) অর্ণব সিং: ৩১৯ নম্বর।

১০) ভি লোকেশ: ৩১৭ নম্বর।

ভুল শুধরানোর উপরে জোর দিয়েই সাফল্য, জানালেন টপার

আর সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম স্থান দখলের পরে রাজস্থানের কোটার ছেলে রজিত গুপ্তা জানিয়েছেন, জেইই মেনের (এপ্রিল সেশন) ১৬ তম স্থান অধিকার করার পরে জানতেন যে জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় সেরা হয়ে ওঠার কাজটা সহজ হবে না। সেই পরিস্থিতিতে একেবারে মূল বিষয়ের উপরে জোর দিতে শুরু করেছিলেন। যে বেসিক জিনিসপত্র ছিল, তাতে জোর দিয়েছিলেন কোটার ছেলে। যে সব ভুল করেছেন, সেটা যাতে আর না হয়, সেজন্য বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন। আর তাতেই মিলেছে সাফল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *