6কালবুর্গির ডেপুটি কমিশনার ফৌজিয়া তারান্নুমকে ‘পাকিস্তানি’ বলায় কর্ণাটকের বিজেপি এমএলসি এন রবিকুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গত ২৪ মে বিজেপির বিক্ষোভ চলাকালীন রবিকুমার এই মন্তব্য করেছিলেন। আর আজ পুলিশ মামলা দায়ের করেছে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। এদিকে আইএএস অফিসারকে ‘পাকিস্তানি’ ডাকার পরে ক্ষমা চেয়ে নেন রবিকুমার।
বিজেপি এমএলসি দাবি করেছিলেন, ফৌজিয়া তারান্নুমকে ‘পাকিস্তানি’ বলা তাঁর ‘স্লিপ অফ টাং’ ছিল। এদিকে ঘটনার পরপরই আইএএস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ফৌজিয়া তারান্নুমের সমর্থনে সরব হয়েছিল। রবিকুমার অভিযোগ করেছিলেন, কংগ্রেস দলের নির্দেশে কাজ করছেন ফৌজিয়া তারান্নুম। এই নিয়ে বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা উক্ত আইএএস অফিসারকে নিয়ে বলে ফেলেন, ‘তিনি পাকিস্তান থেকে এসেছেন বলে মনে হচ্ছে।’
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্টেশন বাজার থানায় বিজেপি এমএলসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনার নিন্দা করে আইএএস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অগ্রহণযোগ্য মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বিজেপি নেতাকে। এই নিয়ে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বলে, ‘আইএএস হিসেবে ফৌজিয়া তারান্নুম অনবদ্য। তিনি একজন সৎ কর্মী। তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড অনুকরণীয়। জনসেবা এবং রাষ্ট্রের প্রতি তিনি গভীর ভাবে উৎসর্গ করেছেন নিজেকে।’

পরে বিজেপি এমএলসি নিজের মন্তব্যের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘রবিকুমারের বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। এই মন্তব্য ঘৃণা ছড়ায়। তাই পুলিশ তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে, আমি তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি।’ এদিকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা আইএএস অফিসার শুধু বলেছেন, ‘আমি বরং আমার কাজের মাধ্যমে জবাব দেব।’উল্লেখ্য, ফৌজিয়া তারান্নুম ২০১৫ ব্যাচের আইএএস অফিসার, বর্তমানে কর্ণাটকের কালাবুর্গি জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকা পরিচালনায় অসামান্য কাজের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সেরা নির্বাচনী অনুশীলন পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে ২০১১ সালে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) এর জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ফৌজিয়া। পরে ২০১৪ সালে তিনি পরীক্ষা দিয়ে আইএএস হন। কালাবুর্গি জেলার রুটিকে তিনি একটি ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। সেই অঞ্চলে ফের একবার বাজরার ফলন শুরু করেছিলেন তিনি। এর জন্য তিনি এক্সিলেন্স ইন গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছিলেন।