অ্যাসিড দিয়ে ‘ওম ট্যাটু’ করিয়ে মাংস খাওয়াল সলমন-রশিদরা

Spread the love

১৪ বছর বয়সি দলিত নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। তারপর তাকে নির্যাতন এবং বারবার গণধর্ষণ করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে সুরক্ষা (POCSO) আইন এবং SC/ST (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে চারজন অভিযুক্ত – সলমন, জুবাইর, রশিদ এবং আরিফের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। 

ভাগতপুর থানার এসএইচও সঞ্জয় কুমার পঞ্চাল জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর পরিবার তাদের অভিযোগে দাবি করেছে যে, ‘অভিযুক্তরা অ্যাসিড দিয়ে তার হাতে ‘ওম’ চিহ্নের ট্যাটু করে দিয়েছে, জোর করে মাংস খেতে বাধ্য করেছে এবং আরও নির্যাতন করেছে।’ অভিযোগ অনুযায়ী, ওই কিশোরীকে একটা ঘরে আটকে রেখে বারবার গণধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা তাকে এবং তার পরিবারকে ঘটনা প্রকাশ করলে হত্যার হুমকিও দিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।কী ঘটেছে নির্যাতিতা কিশোরীর সঙ্গে?

নির্যাতিতার কাকা দাবি করেছেন, ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি তার ভাইজি একজন দর্জির কাছে যাওয়ার সময় অপহরণ হয়ে যায়। অভিযোগের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা গাড়িতে করে তাকে অপহরণ করে এবং মাদক দিয়ে অজ্ঞান করে দেয়।

পরে তাকে ভোজপুর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং অন্য একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে কয়েকদিন আগে সে পালিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। ওই কিশোরীর পরিবার আরও অভিযোগ করেছে যে, অভিযুক্তরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছিল। গ্রামীণ পুলিশ সুপার কুনওয়ার আকাশ সিংহ নিশ্চিত করেছেন যে, ভাগতপুর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পরে জেলে পাঠানো হয়েছে। ধৃতের নাম সলমন। তদন্ত চলছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *