যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur university) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত(Bhaskar Gupta)। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে দেখতেও গিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। তবে সপ্তাহখানেক আগে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। সূত্রের খবর, সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাবেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য।
বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। গত ১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছিল। এদিকে তারপর শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছিলেন এক ছাত্র। এমনটাই দাবি করা হয়। তবে তারপরই উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার দাবি তুলছিলেন পড়ুয়ারা। তবে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য।
আপাতত হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিনি। তবে ১৫দিন বিশ্রামে থাকার জন্য তাঁকে বলা হয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর তিনি সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারেন।
এবার প্রশ্ন কী ধরনের আলোচনা হতে পারে? আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কি তিনি আলোচনায় বসবেন? সেটা সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ আউটপোস্ট করতে চায় লালবাজার। এতে কি সবুজ সংকেত দেবে বিশ্ববিদ্যালয়? এনিয়ে নানা চর্চা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত যাদবপুর নিয়ে ঠিক কী কী সিদ্ধান্ত নেন তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। সূত্রের খবর, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারেন। তবে সারাদিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবেন এমনটা নয়। কারণ চিকিৎসকরা তাঁকে অতিরিক্ত চাপ নিতে নিষেধ করেছেন। সেক্ষেত্রে কিছুক্ষণ থেকেই তিনি ফিরে আসতে পারেন।
এর আগে ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তাঁর সুস্থতা কামনা করেছিলেন তাঁরা। তবে অসুস্থ উপাচার্য যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখন তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি সেই সময় বলেছিলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল যেভাবে উপাচার্যকে হেনস্থা করছে সেটা অকল্পনীয়। আমি ওনাকে দেখতে এসেছিলাম। ডাক্তার নিজেই বললেন, কোনওরকম মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না। স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে। হার্টের অবস্থা ভাল নয়। আমি সবপক্ষকে অনুরোধ করব, উপাচার্যের জীবনের দিকে তাকিয়ে একটু মানবিক ব্যবহার করুন।’
এবার ক্যাম্পাসে আসবেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। সেক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা কী হয় সেটাই দেখার। মূলত আন্দোলনকারী বাম নেতা নেত্রীরা এবার উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আন্দোলনে নামেন কি না সেটাও দেখার।