যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সমুদ্রে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দুই দেশের যৌথ এই সশস্ত্র কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের সামরিক সক্ষমতার জানান দিতে সোমবার (১০ মার্চ) একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া, যা সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর সংবাদ প্রকাশের ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানেই এই পদক্ষেপ নেয় পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার ‘সম্ভাব্য হামলা’ প্রতিরোধে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে এই মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া। ‘ফ্রিডম শিল্ড’ নামের এই মহড়া ১১ দিন ধরে চলবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে ওয়াশিংটন ও সিউলের এই বাড়তে থাকা বন্ধুত্ব পিয়ংইয়ংকে আরও ক্ষেপিয়ে তুলছে।
যৌথ এই সশস্ত্র কার্যক্রমের তীব্র নিন্দাও জানিয়েছে কিম প্রশাসন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে, এই মহড়াকে ‘বিপজ্জনক’ ও ‘উস্কানিমূলক’ বলে আখ্যা দেন কিম জং উন। একইসঙ্গে, নিজেদের সামরিক সক্ষমতা জানান দিতে প্রথমবারের মতো নিজেদের নির্মাণাধীন পারমাণবিক সাবমেরিন উন্মোচন করে দেশটি।
ছয় থেকে সাত হাজার টন ধারণক্ষমতার এই সাবমেরিনটি একসঙ্গে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে বলে জানান দক্ষিণ কোরিয়ার এক সাবমেরিন বিশেষজ্ঞ। যেটি সফলভাবে অভিযান শুরু করলে তা যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য বড় একটি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলেও জানান তিনি।
তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ভারে নুয়ে থাকা দেশ উত্তর কোরিয়া অত্যাধুনিক এই যান তৈরির কাঁচামাল এবং পর্যাপ্ত অর্থ কোথায় পেলো। বিশ্লেষকদের ধারণা, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সেনা সহায়তা সরবরাহের বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা পাচ্ছে পিয়ংইয়ং। জাহাজ নির্মাণ কারখানায় এই নির্মাণাধীন সাবমেরিন পরিদর্শনকালে কিম জং উন বলেন, শত্রু বাহিনীর বন্দুকবাজ কূটনীতিকে রুখতে অপ্রতিরোধ্য কিছু যুদ্ধজাহাজ তৈরি করা প্রয়োজন তাদের।