গাজার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার ইসরাইলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তির জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার মধ্যে এই পদক্ষেপ নিলো ইসরাইল।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসা আলবানিজ বলেন, গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অর্থ হলো সেখানে কোনো কার্যকর ডিস্যালিনেশন স্টেশন (লবণাক্তকরণ) নেই। তাই সেখানে বিশুদ্ধ পানিও নেই।
তিনি আরও বলেন, যেসব দেশ এখনও ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি, তারা আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতিরোধযোগ্য গণহত্যার একটিতে ইসরাইলকে সহায়তা করছে।
এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, ইসরাইল ইতোমধ্যেই ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার ফিলিস্তিনিদের পানি প্রবেশের বেশিরভাগ পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে গাজায় পাইপলাইন বন্ধ করে দেয়া, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় কিছু পানির পাম্প এবং ডিস্যালিনেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট চালু রাখার জন্য ব্যবহৃত সৌর প্যানেল ধ্বংস করা।
ডিসেম্বরের এক প্রতিবেদনে, সংস্থাটি উল্লেখ করেছে গাজার অনেক এলাকার ফিলিস্তিনিদের প্রতিদিন পানীয় এবং ধোঁয়ার জন্য ২ থেকে ৯ লিটার (০.৫ থেকে ২ গ্যালন) পানির অ্যাক্সেস ছিল, যা বেঁচে থাকার জন্য প্রতি ব্যক্তির ১৫ লিটার (৩.৩ গ্যালন) প্রয়োজনের সীমার অনেক কম।
হামাস এটিকে ইসরাইলের ‘অনাহার নীতির’ অংশ বলে অভিহিত করেছে।
এর আগে ইসরাইল গত সপ্তাহে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ডে পণ্য সরবরাহ স্থগিত করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।