খোদ ডেপুটি মেয়র পদাধিকারীকে খুনের হুমকির মুখে পড়তে হবে সেটা ভাবাও যায় না। শুধু তাই নয়, ডেপুটি মেয়রের গাড়িতে হামলা এবং রাস্তায় বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের হুমকির মুখে পড়তে হবে এটা কল্পনার বাইরে ছিল। আর এটাই ঘটেছে খোদ ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে। রাস্তায় পথ আটকে, গাড়ি থামিয়ে ডেপুটি মেয়রকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের সেবক মোড়ে। এমনকী শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? গতকাল এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর আসে ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের কাছে। এই খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে যান শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা রক্ষী না নিয়েই বেরিয়ে পড়েন তিনি। তখন তাঁর সঙ্গে শুধু চালক ছিলেন। এই অবস্থায় রঞ্জন সরকার যখন প্রধাননগর এলাকার একটি নার্সিংহোমে যাচ্ছিলেন তখন গাড়ি সেবক রোডে পৌঁছতেই হামলা হয় দুষ্কৃতীদের। যা দেখে খানিকটা হতভম্ব হয়ে পড়েন ডেপুটি মেয়র। পাল্টা প্রতিবাদ করতেই ধেয়ে আসে খুনের হুমকি।
তারপর সেখানে কী ঘটল? এই খুনের হুমকি পেয়ে খানিকটা ভীত হয়ে পড়েন। কারণ তখন ওখানে তিন চারজন অপরিচিত দুষ্কৃতী ছিল বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের গাড়ি তারাই থামিয়ে ছিল। সেবক মোড়ে তাঁর গাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। গাড়ির বনেটে চড়, ঘুষি মারতে থাকে তারা বলে অভিযোগ। তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গাড়ি থামিয়ে নামেন ডেপুটি মেয়র। তখন রঞ্জন সরকারের সঙ্গে ওই দুষ্কৃতীদের তুমুল বাদানুবাদ হওয়ার সময়ই তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রঞ্জনবাবুর প্রাণের আশঙ্কা আছে বুঝতে পেরেই তাঁর গাড়ি চালক তড়িঘড়ি তাঁকে গাড়িতে ওঠার অনুরোধ করেন। তবে ওই দুষ্কৃতীদের ছবি এবং ভিডিয়ো তোলেন তাঁরা।
এই ছবি এবং ভিডিয়ো পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে সব খবর ঘটনার পরই ফোন করে জানিয়ে দেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। তারপর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয় দুষ্কৃতীদের ছবি–ভিডিয়ো। তবে এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ১২ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই গোটা বিষয়ে ডেপুটি মেয়রের অভিযোগ, ‘প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে সেবক রোডে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। এই সমস্ত দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে পুলিশকে। তবে শিলিগুড়িতে এসব বরদাস্ত করা হবে না।’