সুপ্রিম কোর্টের রায়ে একধাক্কায় চাকরি চলে গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনের। এবার চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে কাছে চিঠি লিখলেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, যোগ্যদের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। তাই অবিলম্বে যাতে রাষ্ট্রপতি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন, সেই আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। পরে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গেলে সেই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ‘যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব নয়।’ রাহুল গান্ধী যোগ্য প্রার্থীদের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে চিঠিতে লিখেছেন, ‘নিয়োগের সময় হওয়া যে কোনও অপরাধ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অযোগ্য প্রার্থীদের মতোই যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে সমান আচরণ করা গুরুতর অবিচার।’ তিনি জানান, এই যোগ্য শিক্ষকদের অনেকেই প্রায় এক দশক ধরে চাকরি করছেন। চাকরি হারানোর ফলে তাঁদের পরিবারের সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাহুল।
রাহুল গান্ধী পরোক্ষে তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট স্বীকার করেছে যে কিছু প্রার্থী যোগ্য ছিলেন। ফলে যাঁরা যাঁরা অন্যায় করেছেন, তাঁদের বিচারের অধীনে আনা হোক। তবে এভাবে সকলকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া মানে তাঁদের মনোবল এবং সেবা করার প্রেরণাকে ধ্বংস করা। তাঁদের পরিবারও আয়ের একমাত্র উৎস থেকে বঞ্চিত হবে।’
রাষ্ট্রপতির কাছে রাহুলের আর্জি, ‘চাকরিহারাদের আবেদন বিবেচনা করে হস্তক্ষেপ করুন। সরকারের কাছে বিবেচনার জন্য অনুরোধ করুন। যাতে তাঁরা নায্যভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।’ রাহুল চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের কয়েকজন প্রতিনিধি তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের অনুরোধেই তিনি এই চিঠি লিখছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগ্য প্রার্থীদের চিন্তা করতে হবে না বলেই তিনি আশ্বস্ত করেছেন।