রাজ্যে ফের প্রশ্নের মুখে নাবালিকাদের নিরাপত্তা। এবার হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে টিউশন পড়ে ফেরার সময় শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রী। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, জগৎবল্লভপুরের গড়বালিয়া এলাকার স্থানীয় স্কুলের একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী মঙ্গলবার রাতে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির সামনে পৌঁছলে তাঁকে হাত ধরে টেনে মোটরসাইকেলে তোলার চেষ্টা করে অশোক দলুই নামে এক যুবক। হামলার মুখে আর্তনাদ শুরু করেন ছাত্রী। তাঁর চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। হাতে নাতে ধরেন অশোককে। এর পর তাঁকে গাছে বেঁধে কয়েক ঘা দেন। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে। এর পর ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
জানা গিয়েছে, এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একই রকম ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্ত অশোক। আগেও গ্রেফতার হয়েছিল সে। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে ভুগছেন ওই ছাত্রী। ওদিকে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অভিভাবকদের মনে।
ওদিকে কোচবিহারের দিনহাটায় চাকরি দেওয়ার নাম করে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির জন্য বেশ কয়েক বছর আগে দিনহাটার ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আবদুল মান্নানকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। কিন্তু চাকরি পাননি তিনি। এর পর টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিলে সম্প্রতি আবদুল মান্নান তাঁকে জানান ইন্টারভিউর ব্যবস্থা হয়েছে। সোমবার তরুণীকে ইন্টারভিউ দেওয়ানোর নামে নিজের গাড়িতে তোলেন ওই তৃণমূল নেতা। এর পর তাঁকে নিয়ে যান একটি ফাঁকা বাড়িতে। অভিযোগ, সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করেন তৃণমূল নেতা আবদুল মান্নান। সঙ্গে তরুণীর নগ্ন ছবি ও ভিডিয়ো তুলে রাখেন তিনি। এর পর টাকা চাইলে ওই ছবি ইন্টারনেটা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, এর পর তরুণীকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতা। তরুণী তা অস্বীকার করলে তাঁর মাথায় আবদুল মান্নান মদের বোতল ভাঙেন বলে অভিযোগ।