জুড়ল উত্তরকাশীর সেই টানেল! রক্ষা করেছেন ‘তিনি’, বদলাবে নাম

Spread the love

উত্তরকাশীর এই টানেলেই নেমে এসেছিল ভয়াবহ বিপর্যয়। উত্তরকাশীর সেই সিল্কিয়ারা টানেল নিয়ে এবার বড় আপডেট। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এই টানেলে হয়েছিল বড় বিপর্যয়। ৪১জন শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন এই টানেলে। ১৭ দিন ধরে আটকে ছিলেন তাঁরা। অবশেষে টানেলের দুদিকের মধ্য়ে যোগাযোগ তৈরি হল।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে বাবা বৌখ নাগের মন্দির তৈরির বিষয়টি বলা হয়েছে। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই দেবতা রেগে গিয়েছিলেন টানেল নির্মাতাদের উপর। আর এবার তাঁকে তুষ্ট করতে তৈরি হল মন্দির।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদ, এই প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত শ্রমিকদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এটা শুধু উন্নত ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবস্থার নিদর্শন নয়, এটা বিশ্বাস আর ভক্তির নজির।

তিনি বলেন, এই উদ্ধার অভিযান ছিল বিশ্বের অন্যতম বড় উদ্ধার অভিযান। অত্যন্ত জটিল ছিল এই উদ্ধারকাজ। তিনি বলেন, এটা ছিল প্রযুক্তি ও মানবশক্তির একটা বড় পরীক্ষা। সকলে মিলে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন।

তিনি সমস্ত উদ্ধারকারী টিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার মধ্য়ে রেসকিউ টিম, রাট মাইনার্স, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, সমস্ত এজেন্সিকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন গোটা বিশ্ব দেখেছিল এই উদ্ধার অভিযান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে, কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় রাজ্য সরকার সফলভাবে এই অভিযান করেছিলেন। গোটা দেশের অভিজ্ঞ উদ্ধারকারীরা সেই সময় এসেছিলেন। তিনি বলেন, যখন টানেলের মুখে বাবা বৌখ নাগের আশীর্বাদে উদ্ধার অভিযান সফলতা পায়। বাবা শক্তিদাতা।

তিনি ঘোষণা করেন এই সিল্কিয়ারা টানেল বাবা বৌখ নাগের নামে রাখা হবে। বৌখ নাগ টিব্বাকে পর্যটনের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে। সিয়ালনা গ্রামের কাছে তৈরি হবে হেলিপ্য়াড।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় টামটা, এমএলএ সুরেশ চৌহান, দুর্গেশ্বর লাল, সঞ্জয় দোভাল উপস্থিত ছিলেন এই কর্মসূচিতে।

১৩৮৪ কোটি টাকায় তৈরি হয়েছে এই টানেল। এর মাধ্য়মে গঙ্গোত্রী থেকে যমুনোত্রী পর্যন্ত দূরত্ব অনেকটাই কমে যাবে। এই টানেলের মাধ্যমে বাণিজ্য, পর্যটন, কর্মসংস্থানের নয়া দিশা তৈরি হতে পারে উত্তরকাশীতে।

শাদাব ইমাম, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার NHIDCL জানিয়েছেন, টানেলের বাকি কাজ ১৮ মাসের মধ্য়ে শেষ করা হবে। ইলেকট্রিকাল, মেকানিকাল, আর টেকনিকালের কিছুটা কাজ বাকি রয়েছে। ১৮ মাসের মধ্য়ে কাজ শেষ করা হবে। এরপর যতটা সম্ভব দ্রুততার সঙ্গে এটা সাধারণ মানুষের জন্য় খুলে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *