চলছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। বরাবরই লাস্ট মিনিট সাজেশন পাওয়ার আশায় মুখিয়ে থাকে পড়ুয়ারা। আর সেখানেই বিপত্তি। বোর্ডের পরীক্ষা শুরুর আগে ঘটা করে জি বাংলার দিদি নম্বর ১ অনুষ্ঠানের থেকে সাজেশন দেওয়া হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। কিন্তু প্রশ্ন আসতেই দেখা গেল, একটাও নাকি মেলেনি। যা নিয়ে বেশ বিরক্ত একাংশ।
একটি ভিডিয়ো খুব ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে দেখা যাচ্ছে দুই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অভিযোগের সুরে বলছেন, ‘দিদি নম্বর ১-এ বলল বাংলায় আসবে বুড়ির চরিত্র, ইংলিশে আসবে লোমভের চরিত্র। খাতা নিয়ে বসো, পেন নিয়ে বসো… কিচ্ছু আসেনি!’ এই ভিডিয়ো দেখে হাসির রোল সোশ্যাল মিডিয়াতে।
একজন মন্তব্য করলেন, ‘দিদি নম্বর ১-এর সাজেশন দেখে পরীক্ষা দিতে গেছে। ওকে বাঁধিয়ে রাখো কেউ’। আরেকজন লেখেন, ‘হাসতে হাসতে পেট ব্যথা করছে। বেচারা দিদি নম্বর ১ দেখে পরীক্ষা দিতে গেছে।’ আরেকজন লেখেন, ‘ও বাবা! এই ছেলেটাও নাকি দিদি নম্বর ১ দেখে।’ তৃতীয়জন লিখলেন, ‘বেচারা রচনার জন্য ফেল করে যাবে।’ চতুর্থজন লিখলেন, ‘ভাই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে তোদের বাড়ির লোক টিভি দেখতে দেয়? আমাদের তো পরীক্ষার আগে টিভি খুললেই… থাক আর বললাম না।’ পঞ্চমজন লেখেন, ‘দিদি নম্বর ১ দেখে কেউ আর পরীক্ষা দিতে যেও না’।
এর আগে দিদি নম্বর ১-এর একটি প্রোমোতে দেখা গিয়েছিল, ইংরাজির শিক্ষিকা মিঠু দে দেবনাথ বললেন, ‘দ্য প্রপোজাল’ বলে একটা ড্রামা থেকে ‘লোমভ’ চরিত্রটি এবার আসবেই আসবে। বাংলার শিক্ষিকা বিদিশা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এবার ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভারতবর্ষ গল্পে বৃদ্ধার চরিত্র, আসবেই।’ রসায়নের শিক্ষিকা সুতপা রায়ও তাঁর বিষয়ের সাজেশন দেন। ইতিহাসের শিক্ষিকা বর্ণালী রুজ নিজের মতো করে মজা করে বলেন, ‘ইতিহাসের কিছু সাজেশন দিচ্ছি, ‘প্রত্যেকে খাতা পেন বার করে বসে পড়ো…’। তাঁর কথায় হেসেও ফেলেন সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Rachana Banerjee)।
এই প্রোমো নিয়েও হাসির রোল উঠেছিল নেটপাড়ায়। তবে তা ফলো করে, যে কোনো পড়ুয়া আসলেই বিপাকে পড়তে পারে, তা মনে হয় কেউই ভাবেননি। এবারে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে ৩ মার্চ থেকে। চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত।