কসবায় লাঠি খেয়েছেন চাকরিহারারা। তাদের দাবি লাথিও খেয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি, মৃদু বলপ্রয়োগ করা হয়েছিল। আর তার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে পুলিশের তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছিল। বলা ভালো বিস্ফোরক ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োতে বলতে শোনা গিয়েছিল পেট্রল নিয়ে আয় জ্বালিয়ে দেব। এই ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে এবার কলকাতা পুলিশের পোস্ট করা সেই ভিডিয়োর ব্যাখা দিয়েছেন চাকরিহারারা।
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের আহ্বায়ক মেহবুব মণ্ডল কলকাতা পুলিশের পোস্ট করা এই ভিডিয়োর প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, কসবার ঘটনাস্থলে প্রচুর সংবাদমাধ্য়ম ছিল। প্রচুর ভিডিয়ো ক্লিপিং রয়েছে। কিন্তু এমন একটা ভিডিয়ো ক্লিপিং নেই যেখানে আমরা জ্বালিয়ে দিতে বা পুড়িয়ে দিতে বলছি।
মেহেবুবের পাশে ছিলেন অপর চাকরিহারা শিক্ষক মহম্মদ আবদুল্লা আল মনজুম। তিনি বলেন, আমাদের মধ্য়ে কেউ এই কথা বলবে বলে মনে হয় না। বরং পেট্রল দিয়ে আমরা নিজেদের জ্বালিয়ে দিতে বাধ্য় হব যদি সসম্মানে পদ ফিরে না পাই। নিজেদের জ্বালানো ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনও উপায় থাকবে না।
মনজুম বলেন, এটা চক্রান্ত হতে পারে। হতে পারে কেউ ওখানে গিয়ে এই কথা বলেছেন আমাদের মধ্য়ে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছেন।
কসবায় স্কুল পরিদর্শকের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এরপর একাধিক ভিডিয়ো সামনে আসে। সেখানে কোথাও লোহার দরজায় ধাক্কা দিচ্ছেন চাকরিহারারা। কোথাও আবার পুলিশের লাঠি। এমনকী পুলিশ লাথি মারে বলেও খবর। তবে সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি ইনিউজ বাংলা।
তবে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, ‘কিছু অসাধু ব্যক্তি গুজব ছড়াচ্ছেন যে, কলকাতা পুলিশের পোস্ট করা ভিডিওগুলি নাকি গতকালের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এ বিষয়ে স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে: শুধুমাত্র উপস্থাপনার স্বার্থে একাধিক ক্লিপ একত্র করে একটি ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। নিচে পৃথক ক্লিপগুলি দেওয়া হল, যার মধ্যে একটি ক্লিপে এক প্রতিবাদকারীকে ‘পেট্রোল দিয়ে জায়গাটা জ্বালিয়ে দাও’ বলতে শোনা যাচ্ছে।
এই ধরনের অবিরত আগ্রাসী আচরণের মুখোমুখি হয়ে, কলকাতা পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সামান্য বলপ্রয়োগ করতে এবং উচ্ছৃঙ্খল ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়।’