হদ্দ গরিব বললেও কম বলা হয়। সোমবার শিয়ালদা স্টেশনে ধৃত অস্ত্রপাচারকারী হাসান শেখের বাড়িটা এক ঝলক দেখলে এটাই মনে হবে প্রথমবারে। সেই বাড়ির ছেলে অস্ত্রসহ ধরা পড়ায় হতবাক প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়রা। তাঁদের দাবি, হাসান যে অস্ত্র পাচার করেন ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তাঁরা।
সোমবার ভোর ৬টায় হাটে বাজারে এক্সপ্রেস শিয়ালদা পৌঁছলে সেখান থেকে হাসান শেখকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের STF. হাসানের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৬টি বন্দুক ও ৮ রাউন্ড কার্তুজ। এই ঘটনার পর থেকেই থমথমে মালদার কালিয়ারচকের কিসমত নারায়ণপুর গ্রাম। আবার গ্রামে পুলিশ আসে কি না তাই ভেঙে আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের।
গোলা – বারুদ আর আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য কিসমত নারায়ণপুরের বেশ বদনাম রয়েছে জেলায়। সেই গ্রামেরই ছেলে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারে ধরা পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে। স্থানীয়রা বলছেন, হাসানরা হদ্দ গরিব। ও নিজে কাপড়ের ব্যবসা করত বলে জানতাম। শিলিগুড়ি, বিহার, নেপাল ঘুরে কাপড় ফেরি করত। বিহারের মধুবনিতে ওদের আড়ত রয়েছে। সেখান থেকে কাপড় নিয়ে বিক্রি করত বিভিন্ন জায়গায়। তাতে কোনও ক্রমে চলত স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে হাসানের পরিবার।
কালিয়াচক থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে হাসানদের বাড়ি। হাসানের বউদি জানিয়েছেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে বিহার থেকে ফিরেছিল হাসান। এর পর বাড়িতেই ছিল সে। রবিবার সন্ধ্যায় কাজ আছে বলে বাড়ি থেকে কালিয়াচক যায় সে। তার পর তার মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকেই খারাপ কিছুর আশঙ্কা করছিলাম। সোমবার সকালে জানতে পারি হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু ও এরকম ছিল না। অভাবের তাড়নায় এই পথে নেমেছে বোধ হয়।’