আবার শহরে অগ্নিকাণ্ড। আর এই ভয়াবহ আগুন দেখে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। বেশি রাতে রবিবার এই বিধ্বংসী আগুন লাগে পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের একটি বাণিজ্যেক বহুতলের চার তলায়। এই ঘটনা দেখে খবর দেওয়া হয় দমকলে। জরুরি ভিত্তি দমকল বিভাগ থেকে ১০ ইঞ্জিন সেখানে ছুটে আসে। আর আগুনের লেলিহান শিখা নেভাতে কাজ করে। তখন অবশ্য জ্বলতে শুরু করেছিল সমগ্র চারতলা। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করার জেরে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। এই তীব্র আগুনের শিখায় দগ্ধ হয়ে আহত হন পাঁচজন। তার মধ্যে দু‘জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর।
এদিকে ছুটির দিন। তার উপর বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল। ফলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে লোক পাওয়া যায়নি। অপেক্ষা করতে হয় দমকলের জন্য। এই ভয়াবহ আগুন লাগে ৬৫/এ পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে। এটি সম্পূর্ণ বাণিজ্যেক বহুতল। নানা অফিস এখানে আছে। আর এই বহুতলের চারতলায় কাপড়ের গুদাম রয়েছে। এখানেই আগুন লেগে যায়। দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তখন কয়েকজন কাজের সূত্রে ছিলেন। যাঁরা ওই আগুনে আটকে পড়েন। আর বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। ছাদের দরজাও বন্ধ থাকায় সেখানে যেতে পারেননি তাঁরা।
ওই পরিস্থিতিতেই তাঁরা অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়েন। ওই রাতেই পুলিশ এবং দমকলের সাহায্যে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। দু’জন তাঁর মধ্যে জ্ঞান হারিয়েছিলেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আরও দু’জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক বলে খবর। দমকল সূত্রে খবর, কেমন করে আগুন লেগেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে দাহ্য বস্তু উপস্থিতি মিলেছে। মোট পাঁচজন আগুনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যদিও সেটা বড় কিছু নয়। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত করা হবে। তখনই সব সামনে আসবে।
আজ, সোমবার এখানে সব সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হবে। কারণ আগুন আপাতত নিভে গেলেও ভিতরে কিছু রয়ে গিয়েছে কিনা সেটাই দেখা হবে। যেহেতু সরু গলির মধ্যে দিয়ে গিয়ে আগুন নেভাতে হয়েছে সেহেতু সমস্যায় পড়তে হয়েছিল দমকল কর্মীদের। এখানে ১০টি ইঞ্জিন এসে একঘণ্টার টানা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। আজ সকাল থেকে ওই বহুতলে কুলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আগুনে আহতদের মধ্যে এক পুরোহিত রয়েছে বলে খবর। কিন্তু এত রাতে ওখানে পুরোহিত কী করছিল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।