রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ না পাওয়ায় ‘ক্ষুব্ধ’ আরজি কর নির্যাততিতার বাবা

Spread the love

গত বৃহস্পতিবার দিল্লি গিয়েছেন আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার মা-বাবা। সেখানে সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁদের। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁদের। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে ইমেল পাঠালেও তার জবাব মেলেনি। এই আবহে মনে ‘ক্ষোভ’ জমেছে নির্যাতিতার বাবার। সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা না করতে পেরে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘প্রচণ্ড খারাপ লাগছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে ইমেল করেছিলাম আমরা। আমাদের জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি সময়ের অভাবে দেখা করতে পারবেন না। যেখানে রাষ্ট্রপতির নিজে থেকে এগিয়ে আসা ছিল, সেখানে তিনি বলছেন, সময় নেই।’

এদিকে সিবিআই সদর দফতরে ডিরেক্টর প্রবীন সুদের সঙ্গে দেখা করে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘আমরা সিবিআই প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে আমাদের মেয়ে বিচার পাবে। আমরা কখনও সিবিআই তদন্তের দাবি করিনি। আদালত নিজে থেকেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।’ এরপর তিনি আরও বলেন, ‘সাতমাস হয়ে গেল। আমাদের মেয়ে এখনও বিচার পেল না। আমরা বিচারের জন্যে সব সম্ভব দরজার কড়া নেড়েছি। আমরা এই লড়াই ছাড়ব না। সিবিআই এর আগে চার্জশিট জমা করেনি আদালতে। এর জেরে দুই অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পায়। এই আবহে আমি আদালতের সামনে আমার আবেদন রেখেছি নতুন করে।’

এদিকে আরজি কর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরই সঙ্গে আরজি কর কাণ্ডে তথ্য়প্রমাণ লোপাটের মামলায় এবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট তৈরি করছে সিবিআই। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দফতরে এই মামলার দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট প্রস্তুত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাট মামলায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। যদিও সময় মতো চার্জশিট জমা না করায় সেই মামলায় জামিন পেয়েছেন দু’জনেই।

অপরদিকে স্টেটাস রিপোর্টে সিবিআই আদালতে জানিয়েছে আরজি কর কাণ্ডে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র, তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত শেষ দিকে। দ্রুত এই বিষয়ে চার্জশিট পেশ করবে সিবিআই। তবে টালা থানার প্রাক্তন আইসির মোবাইল ফোনের সিম এখন ফেরত দেওয়া যাবে না। তাতে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *