হিন্দি সিনেমার অন্যতম সেরা ও সুন্দরী অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন রেখা(Rekha)। তিনি তাঁর সময়ের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন এবং এই কারণেই প্রত্যেক পরিচালক তাঁকে ছবিতে নিতে চাইতেন। রেখার জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে তাঁকে একবার নিজের ছবিতে নিয়ে চেয়েছিলেন রঞ্জিত। শ্যুটিং শুরু হয়েও গিয়েছিল, তারপরেও কেন রেখাকে ছবি থেকে বাদ দিয়ে দেন অভিনেতা?
সম্প্রতি রেখা সম্পর্কে জনপ্রিয় খলনায়ক রঞ্জিত বলেন কীভাবে একবার তিনি রেখাকে তাঁর ছবিতে কাজ করার জন্য রাজি করিয়েছিলেন কিন্তু পরে নিজেই অভিনেত্রীকে বাদ দিয়ে দেন। কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে অমিতাভের কথাও। ঠিক কী বললেন রঞ্জিত?
ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রঞ্জিত বলেন, ‘একটা সময় এসেছিল যখন আমার কাছে কোনও সিনেমার অফার আসছিল না। একটা সময় আমি বিরক্ত হয়ে নিজেই ছবি তৈরি করার কথা ভাবলাম। যখন আমি ছবি তৈরি করা শুরু করি, আমি অভিনেতাদের কাজের পরে টাকা দিতাম, কেউ কেউ আমার কাছ থেকে টাকা নিত না, সম্পর্ক ভালো থাকার দরুন। একবার আমি রেখাকে ছবিতে নেওয়ার কথা চিন্তা করি। ’
রঞ্জিত বলেন,’ আমি একবার রেখাকে বলেছিলাম যে তুমি আমার বন্ধু, আমি তোমাকে একটি ছবিতে নিতে চাই। তুমি কত নিতে চাও বল। টাকার অঙ্ক শুনে বুঝলাম অন্যদের থেকে আমার বাজেট অনেক কম। তারপরেও উনি রাজি হয়ে যান। আমি যেদিন ওঁর বাড়িতে স্ক্রিপ্ট শোনাতে গিয়েছিলাম, সেদিন গোটা টিম ওঁর বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিল। রেখার কাছে যাওয়ার অনুমতি কারও ছিল না।’
বলিউডের খলনায়ক রঞ্জিত বলেন, ‘সমস্যা শুরু হয় তখন থেকে, যখন রেখা সন্ধ্যায় শ্যুটিং করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেছিলেন যে তিনি রাতে শ্যুটিং করবেন না। বারবার বোঝানোর পরেও তিনি যখন রাজি হলেন না, তখন আমি রেগে বলেছিলাম যে আমি এই ছবিটা আমার জন্য তৈরি করছি তোমার জন্য নয়।’
রঞ্জিত বলেন, ‘আমি বুঝেছিলাম ও আমাকে অন্য পরিচালকদের মতোই ব্যবহার করবেন তাই সেই সুযোগ আসার আগেই আমি ভালোবাসার সাথে ওকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলি। রেখা আমার কথায় রাজি হয়ে যায় ও পুরো ব্যপারটাই খুব সহজে মিটে যায়। ’
সবশেষে রঞ্জিত বলেন, ‘ এই গোটা সমস্যার পেছনে ছিল অমিতাভের সঙ্গে রেখার ঝামেলা, যদিও পরে দুজনে বন্ধু হয়ে যান। সেই সময় রেখা মুম্বইতেই থাকতে চেয়েছিলেন। আমার শ্যুটিং স্পট ছিল মুম্বইয়ের বাইরে। রেখা সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে থাকতে চাইতেন না কিন্তু আমার সিনেমার গানের শ্যুটিং হত সন্ধ্যায়। কোরিওগ্রাফারের সঙ্গেও ওঁর সমস্যা ছিল, তাই সবদিক বিচার করে আমরা একসঙ্গে কাজ করার চিন্তা থেকে নিজেদের সরিয়ে দিই।