সিপিএম আমলে চাকরি গিয়েছিল অনেকের! পরের বছর সরকার ধপাস

Spread the love

বাম জমানায় জলপাইগুড়িতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তবে শুধু জলপাইগুড়িতেই নয় নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যপক দুর্নীতি হয়েছিল বাম আমলে ত্রিপুরাতেও।

তৎকালীন ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী মানিক সরকারের জমানাতেই হয়েছিল ভয়াবহ দুর্নীতি। ত্রিপুরা হাইকোর্ট সেই সময় মামলা হয়েছিল। আর তার জেরে সেই প্যানেল বাতিল করেছিল আগরতলা হাইকোর্ট। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গিয়েছিল তৎকালীন ত্রিপুরার বাম সরকার। কিন্তু সেখানেও ধাক্কা খায় তৎকালীন বাম সরকার। ২০১৭ সাল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টও রায় দিয়েছিল চাকরি বাতিলের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায় বহাল থাকবে।

প্রসঙ্গত ২০১০ সালে ও ২০১৩ সালে দু দফায় মোট ১০,৩২৩ জনকে নিয়োগ করেছিল তৎকালীন ত্রিপুরার বাম সরকার। এরপর সেই নিয়োগ নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এরপর সেই প্যানেল বাতিল করা হয়। ২০১৭ সালের দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বহাল থাকে হাইকোর্টের আগের নির্দেশ। তারপরের বছরই ছিল ত্রিপুরার বিধানসভা ভোট। ড্যামেজ কন্ট্রোলের নানা চেষ্টা করেছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল তৎকালীন বাম সরকার। প্রাক্তন হয়ে যান মানিক সরকার।

তবে ত্রিপুরার দুর্নীতির যে প্রভাব পড়েছিল সেই রাজ্যের তেমন প্রভাব বাংলায় আদৌ পড়বে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়?

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলায় দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোল করে ফেলবে বর্তমান তৃণমূল সরকার। আগামী বছর বিধানসভা ভোট। কিন্তু সেই ভোটে এই চাকরি বাতিলের কোনও প্রভাব না পড়ারই সম্ভাবনা। তাছাড়া বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ একাধিক প্রকল্প চলে। সেক্ষেত্রে বাংলায় কোনও ইস্যুই সেভাবে দাগ কাটে না। তাছাড়া ত্রিপুরায় সিপিএমের বিরুদ্ধে চাকরি বাতিলের ইস্যু, দুর্নীতির ইস্যুকে যথাযথ কাজে লাগাতে পেরেছিল বিজেপি। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল এতটাই শক্তিশালী যে এই চাকরি বাতিলের ইস্যু কার্যত তাদের কাছে সাপে বর হয়ে যেতে পারে। কিছুদিনের মধ্য়েই এমন কিছু ঘোষণা হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে যে তাতে কার্যত এই ইস্যু তৃণমূলকেই সুবিধা করে দিতে পারে। তাছাড়া অতীতে একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে চুরি, দুর্নীতি, গ্রেফতার, খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাসের ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তার কোনও প্রভাবই পড়ে না বাংলার জনমানসে, কোনও প্রভাবই পড়ে না বাংলার ভোটে। মিটিং মিছিলে চিৎকার করেন নেতারা। কিন্তু ইভিএমে এগিয়ে থাকে তৃণমূলই। অতীত অন্তত এমনটাই বলছে। এমনকী এখন বাংলার কোথাও ভোট হলেও কতটা প্রভাব পড়বে চাকরি হারানো নিয়ে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *