এদিন হিরো হয়ে উঠতে পারতেন হার্দিক পান্ডিয়া(Hardik Pandya)। চাইলে, ভারতের স্কোর ২৫০ রানের উপর নিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু টিম ইন্ডিয়া আটকে গেল ২৪৯-এই। তাঁর কারণ হার্দিক। একদিকে যেমন তাঁর ৪৫ বলে ৪৫ রানের দুরন্ত ইনিংস ভারতকে অক্সিজেন দিয়েছে, অন্যদিকে হার্দিক শেষের দিকে বারবার সিঙ্গেল নিতে অস্বীকার করায় ভারত ২৫০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারল না। সেই সঙ্গে নিজেও হাফসেঞ্চুরি পূরণ করতে পারলেন না হার্দিক।
ভারতের ইনিংসের ৪৯তম ওভারে কাইল জেমিসনকে পিটিয়ে ১৫ রান নেন হার্দিক। তার মধ্যে ২টি চার এবং একটি ছক্কা ছিল। এই ওভারের পঞ্চম বলে অবশ্য এক রান নিয়েছিলেন হার্দিক। তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন ৪৫ রানে। ওভারের শেষ বলে স্ট্রাইকে ছিলেন মহম্মদ শামি। জেমিসনের ফুলটস বল ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগের দিকে সুইং করেন তিনি। ২ রান হয়ে যেতে পারত। কিন্তু রান নিতে রাজি হননি হার্দিক।
এর পর শেষ ওভারে ২টি বল নষ্ট করেন হার্দিক। সিঙ্গেল নেওয়ার সুযোগ পেয়েও, রান নেননি। উল্টে ওভারের তৃতীয় বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২টি ছক্কা এবং চারটি চারের হাত ধরে ৪৫ বলে ৪৫ করে সাজঘরে ফিরে যান হার্দিক।
হার্দিক যদি সিঙ্গেলগুলো নিতেন, তবে হয়তো ভারত ২৫০ রানের গণ্ডি টপকে যেতে পারত। আর কিছু রান যোগ হতে পারত টিম ইন্ডিয়ার স্কোরবোর্ডে। কিন্তু নিজে ইনিংস শেষ করতে গিয়ে ভুল কিছু সিদ্ধান্ত নিলেন হার্দিক। আর এতেই তাঁর সফল ইনিংসে পড়ল একফোঁটা চোনা। ব্যাট হাতে ভালো পারফরম্যান্স করার পরেও ফের নেটপাড়া তাঁকে ‘স্বার্থপর’ বলতে শুরু করেছে। তাঁকে শুনতে হচ্ছে কটু কথা।
রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় টপ অর্ডারের তিন তারকা কেউই রান পাননি। শুভমন গিল (২), রোহিত শর্মা (১৫), এবং বিরাট কোহলি (১১) এদিন নিরাশ করেছেন। তবে ভারতের মিডল অর্ডার লড়াই করে। শ্রেয়স আইয়ার এবং অক্ষর প্যাটেল চতুর্থ উইকেটে ৯৮ রান যোগ করে ভারতকে অক্সিজেন দেন। শ্রেয়স ৭৯ এবং অক্ষর ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। শেষের দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার আগ্রাসী ৪৫ রান বড় সম্পদ হয় ভারতের। তবে হার্দিকের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ২৫০ রানের গণ্ডি পার করতে পারল না ভারত। কিউয়িদের হয়ে স্পিন সহায়ক পিচে মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্য়ান্টনাররা ভালো বল করলেও, পাঁচ উইকেট পান ম্যাট হেনরি।