রবিবার রায়পুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে IML T20র ফাইনাল। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট জিতেছে সচিন তেন্ডুলকরের(Sachin Tendulkar) নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া মাস্টার্স দল। সচিন তেন্ডুলকর এর নেতৃত্বে, তারা ১৭.১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা সহজেই তুলে নেয়। লিটল মাস্টার নিজে এদিন বড় রান করতে পারেননি বটে, তবে তিনি তার আকর্ষণীয় আপার-কাট দিয়ে দর্শকদের মনে পুরনো স্মৃতি উস্কে দিয়েছেন।
পাওয়ারপ্লে-র শেষ ওভারে জেরোম টেলরের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করার সময়, সচিন পরপর দুটি বলে চার ও ছয় মারেন। এর মধ্যে ওভারবাউন্ডারিটি ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কিংবদন্তী শোয়েব আখতারের বিরুদ্ধে তার অসাধারণ শটের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে। পাক পেসারের বিরুদ্ধে তার মারা আপার-কাট শটটি সব সময়ই মাস্টার ব্লাস্টারের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা শট হিসেবে বিবেচিত হয়।
২০০৩ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ভারতের টার্গেট ছিল ২৭৪ রানের। সচিন ৯৮ রানে আউট হয়েছিলেন আখতারেরই বলে। তবে শেষ হাসি হেসে ভারতই ম্যাচ জিতেছিল। সচিনের শট নির্বাচন পাকিস্তানি পেসারের কৌশলকে ব্যর্থ করে দিয়েছিল এবং তার আত্মবিশ্বাসকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে, তিনি আখতারের শর্ট ও ওয়াইড ডেলিভারিকে থার্ড-ম্যানের ওপর দিয়ে ছয় মেরেছিলেন। তারপর তিনি পরবর্তী দুটি বলেও বাউন্ডারি মেরেছিলেন।
এদিন IML T20 ফাইনালে অবশ্য ১৪৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা ভারত ১৭.১ ওভারে তুলে নেয় চার উইকেট হারিয়ে। ওপেনার অম্বতি রায়াডু ৫০ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছয় মেরে ৭৪ রান করেন। এর আগে, বিনয় কুমারের তিন উইকেটের সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ১৪৮/৭ রানে থেমে যায়। লেন্ডেল সিমন্স ৪১ বলে ৫৭ রান করেন।
বিজয়ের পরে, ভারত মাস্টার্সের ইউসুফ পাঠান বলেছেন, “একটি টুর্নামেন্টের প্রথম সংস্করণ জেতা সবসময় একটি বিশেষ অনুভূতি। নীল জার্সিতে খেলার চাপ অন্যরকম। আপনার বুকে ভারতীয় লোগো আছে এবং এটি আপনাকে একটি বড় দায়িত্ব দেয়। অনেক ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগ করার স্বপ্ন দেখে। তিনি অনেক বছর ক্রিকেট খেলেছেন, অনেক ক্রিকেটার তাকে “ক্রিকেটের ঈশ্বর” বলে ডাকে। তার কাছ থেকে আসলে অনেক কিছু শেখার আছে।”