ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত করেছে যে, টেস্ট ক্রিকেটের ১৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে বড় চমক দেখা যাবে। ২০২৭ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে এক ঐতিহাসিক দিন-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত করা হবে। মার্চ ১১-১৫, ২০২৭ পর্যন্ত চলবে এই মর্যাদাপূর্ণ টেস্ট, যা অনুষ্ঠিত হবে সেই ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি), যেখানে ১৮৭৭ সালে প্রথম টেস্ট ম্যাচ ও ১৯৭৭ সালে শতবার্ষিকী টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অতীতের উভয় ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া ৪৫ রানের ব্যবধানে জয় লাভ করেছিল।
এটি হবে এমসিজিতে প্রথমবারের মতো পুরুষদের দিন-রাত্রির কোনও টেস্ট ম্যাচ। যদিও ২০২৪ সালে একই ভেন্যুতে মহিলাদের অ্যাশেজ সিরিজের একটি গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এমসিজিতে ১৫০তম বার্ষিকী টেস্ট হবে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ইভেন্ট এবং দিন-রাত্রির ম্যাচ আয়োজন করা হবে আমাদের ঐতিহ্য ও টেস্ট ক্রিকেটের আধুনিক বিবর্তনকে উদযাপন করার এক চমৎকার উপায়।’ তিনি আরও জানান, ‘এই ম্যাচটি আরও বেশি দর্শকের জন্য সহজলভ্য হবে, যারা সরাসরি মাঠে কিংবা টিভিতে উপভোগ করতে পারবেন।’
১৯৭৭ সালের শতবার্ষিকী টেস্টের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করে টড গ্রিনবার্গ বলেন, ‘ডেভিড হুকসের টনি গ্রেগকে টানা পাঁচটি চার মারা, রিক ম্যাককোস্কারের ভাঙা চোয়াল নিয়ে ব্যাটিং করা এবং ডেরেক র্যান্ডালের সাহসী শতক, এসব স্মরণীয় ঘটনা শতবার্ষিকী টেস্টকে ঐতিহাসিক করে তুলেছিল। আশা করছি, ১৫০তম বার্ষিকী টেস্টও এমন কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি করবে।’
২০২৭ সাল অস্ট্রেলিয়া পুরুষ দলের জন্য একটি ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ বছর হতে চলেছে। ২০২৬/২৭ মরশুমে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার ম্যাচের হোম সিরিজের পর, তারা ভারত সফরে যাবে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি রক্ষার জন্য পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে। এরপর মার্চে এমসিজিতে ১৫০তম বার্ষিকী টেস্টের পর, তারা ইংল্যান্ড সফরে যাবে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে। এছাড়া, যদি তারা যোগ্যতা অর্জন করে, তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অংশ নিতে পারে, এরপর বছরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নেবে তারা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান অপারেশন ও সূচি পরিকল্পনা প্রধান পিটার রোচ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সূচির জটিলতা মাথায় রেখে এমন একটি ঐতিহাসিক ইভেন্টের আয়োজন করতে ব্যাপক পরিকল্পনা ও সমর্থন প্রয়োজন হয়। আমরা মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব এবং ভিক্টোরিয়ান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা এই মুহূর্তটিকে বিশেষ করে তুলতে সাহায্য করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালের শতবার্ষিকী টেস্টের মতোই, ১৫০তম বার্ষিকী টেস্টও দর্শকদের মনে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’