মোহনবাগানের ছেড়ে দেওয়া প্লেয়ারকে দলে নিলে কি হয়, সেটা এবারের আইএসএলে ভালোভাবেই টের পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। মোহনবাগানের গতবারের আইএসএলে খেলা ডিফেন্ডার জুটি হেক্টর য়ুসতে এবং আনোয়ার আলিকে দলে নিয়েছিল লালহলুদ শিবির। আনোয়ারকে মোহনবাগান ছাড়তে না চাইলেও অনেক লড়াই করে দলে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল আর হেক্টরকে মোহনবাগান এমনিই ছেড়ে দিয়েছিল।
সুপার কাপে হেরেই অবসর
সেই হেক্টরকে দিয়ে ইস্টবেঙ্গল নিজেদের ডিফেন্স লাইন আপ সাজিয়েছিল। যা পর যা হওয়ার তাই হয়েছে। একজন ৩৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডারের পক্ষে ভারতের সেরা লিগে পুরোদমে তরুণদের সঙ্গে টেক্কা দেওয়া যে মোটেই সহজ নয়, সেটাই প্রতি পদে পদে বুঝতে পেরেছেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। এবার সুপার কাপে কেরল ব্লাস্টার্সের কাছে পরাজিত হওয়ার পরই নিজের কেরিয়ারে ইতি টানলেন এই ডিফেন্ডার।
ড্রেসিংরুমে ফিরেই অবসর হেক্টরের
বিশ্ববাংলা সংবাদের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে সুপার কাপের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে ২ গোলে হারের পরই ড্রেসিংরুমে ফিরে সতীর্থদের তিনি জানিয়ে দেন, এটাই ছিল তাঁর ফুটবল কেরিয়ারের শেষ মরশুম। আর এই ম্যাচই ছিল তাঁর কেরিয়ারে শেষ ম্যাচ। অর্থাই ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতেই নিজের কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন গতবার আইএসএল শিল্ডজয়ী দলের সদস্য হেক্টর য়ুসতে।
বাগান ম্যানেজমেন্টের দূরদর্শিতার প্রশাসংয় সবাই
বিষয়টি দেখার পর এখন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ম্যানেজমেন্টের দূরদর্শিতার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন। আইএসএল জিতলেও হেক্টরকে তাঁরা না রেখে রদ্রিগেজ এবং অলদ্রেডকে নিয়ে এসেছিল মোহনবাগান ডিফেন্সে। ফল অত্যন্ত স্লথ হেক্টরের পক্ষে যে আরও এক বছর ফাস্ট ফুটবলে টেনে খেলা সম্ভব নয়, সেটা আগেই বুঝতে পেরেছিল বাগান। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল রিক্রুটাররা সেটা না বুঝেই হেক্টরকে দলে নিয়েছিল।
পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে MBSG মোহনবাগান কেন এগিয়ে?
পরিসংখ্যানই তাই শেষ কথা বলছে আইএসএলে। হেক্টর য়ুসতে মরশুমের মাঝপথে আইএসএলের সময় চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিলেন। কিন্তু মোহনবাগানের টম আলদ্রেড বা আলবার্তো রদ্রিগেজের কেউই চোটাঘাতে তেমন ভোগেনি ফিটনেস এবং বয়স কম থাকায়। চোট পেলেও দ্রুত তাঁরা কাটিয়ে উঠেছেন। এছাড়াও মাঠে তাঁদের স্পিডও হেক্টরের থেকে ভালো। আর শীর্ষস্থানে শেষ করা বাগান রক্ষণ যেখানে খেয়েছে লিগ স্টেজে ১৬ গোল সেখানে হেক্টর হিজাজিদের ডিফেন্স খেয়েছে দ্বিগুনেরও বেশি গোল। এবার তাই মোহনবাগানের ছেড়ে দেওয়া ফুটবলার নেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্ক থাকবে নিশ্চয় ইস্টবেঙ্গল।