গত ৩০ মার্চ বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল সলমন খান অভিনীত ‘সিকন্দর’। বারবার প্রাণনাশের হুমকি পাওয়া সত্ত্বেও সিনেমার শ্যুটিং অথবা প্রচারে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি ভাইজান। তবে এতকিছুর পরেও বক্স অফিসে তেমন ব্যবসা করতে পারল না সিকন্দর। ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ না করার দুঃখের মাঝেই এবার নতুন সিনেমার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিলেন তিনি।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ব্লকবাস্টার সিনেমা বজরঙ্গি ‘ভাইজান’ – এর সিক্যুয়েল তৈরি হতে চলেছে। ১০ বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি ভেঙে দিয়েছিল বক্স অফিসের একের পর এক রেকর্ড। এবার পালা দ্বিতীয় পর্বের। ইতিমধ্যেই নাকি প্রবীণ চিত্রনাট্যকার ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আলোচনায় বসেছেন সলমন।
‘বজরঙ্গি ভাইজান ২’ যে খুব তাড়াতাড়ি সিনেমা হলে আসবে তা জানা গিয়েছিল গত বছরই। গত বছর জুন মাসে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে বিজয়ন্দ্র জানিয়েছিলেন, সিনেমার স্ক্রিপ্ট মোটামুটি রেডি। সলমনকে শোনানোর অপেক্ষা মাত্র। একবার ভাইজানের সঙ্গে কথা বলা হয়ে গেলেই বাকি প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই মোটামুটি দিওয়ালি অথবা ইদে দর্শকদের একটি করে সিনেমা উপহার দেন সলমন খান। এবারেও তার অনথা হয়নি। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও দর্শকদের খুব একটা পছন্দ হয়নি এই সিনেমাটি, বিশেষ করে সিনেমার গল্প।
মুক্তির দিন বক্স অফিস থেকে ২৬ কোটি টাকা আয় করে ‘সিকন্দর’, পরের দিন ২৯ কোটি টাকা। পরবর্তী কিছুদিনে আয়ের অঙ্ক অনেকটাই কমে যায়। প্রথম সপ্তাহে শেষের দিকে আনুমানিক ৯৭.৫০ কোটি টাকা আয় করে সিনেমা যা দেখে বেশ হতাশ হয়ে যান পরিচালক এবং প্রযোজকরা কারণ, এইভাবে চলতে থাকলে ২০০ কোটি টাকার গণ্ডি হয়তো সিনেমাটি পেরোতে পারবে না।
উল্লেখ্য, ‘বজরাঙ্গি ভাইজান’ সিনেমাটি যেভাবে মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলেছিল, তাতে মোটামুটি অনুমান করা যায় এর দ্বিতীয় পর্ব একইভাবে মানুষের মনে ভালোবাসা তৈরি করতে পারবে। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ মুক্তি পাওয়ার পর সারা দেশ জুড়ে ৩২০ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাপী ৯০০ কোটি টাকা আয় করে, যা তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমার মধ্যে একটি করে তোলে।