আন্দোলন নিয়ে কুকথা বলায় রোগী বয়কটের ডাক চিকিৎসকের

Spread the love

চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য করলে কি কোনও ব্যক্তির চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক চিকিৎসকের করা পোস্টে এই প্রশ্নে শুরু হল বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ওই চিকিৎসক কয়েকজন ব্যক্তির চিকিৎসার দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার জন্য অন্য চিকিৎসকদের আবেদন জানিয়েছেন। আর তাতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

আরজি কর কাণ্ডের পর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতার তরফে ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ। তেমনই কয়েকজনের নাম দিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক দাবি জানান, জরুরি পরিষেবা ছাড়া কোনও চিকিৎসক যেন এদের চিকিৎসার দায়িত্ব না নেন। তাঁর দাবি, চিকিৎসকরা একজোট হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিলে লোকে ভুলভাল বলার আগে অন্তত একবার ভাববে।

বর্ধমান মেডিক্যালের শল্যচিকিৎসা বিভাগের চিকিৎসক সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আবেদনে চিকিৎসক মহল দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, ‘চিকিৎসক হতে গেলে জাতি – ধর্ম – লিঙ্গসহ যাবতীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে চিকিৎসা করার শপথ নিতে হয়। কারও কোনও বক্তব্যের জন্য তাঁর চিকিৎসা করতে অস্বীকার করলে সেই শপথ ভঙ্গ করা হয়।’

জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, এই বক্তব্যের সমর্থক তারা নন। ২ মাস ধরে আন্দোলন চললেও চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রেখেছেন তাঁরা। ফলে এরকম কোনও বিভাজন করা জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে সম্ভব নয়।

তবে চিকিৎসকদের একটি অংশের মতে, যে ভাবে জনাকয়েক ব্যক্তিকে চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার প্রতিরোধ প্রয়োজন। চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে না হলেও অন্য পন্থায় এদের সমঝে দেওয়া প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *