বেশ কয়েকবার তৃণমূল(Tmc) কংগ্রেস বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের উপর হামলা হয়েছে। এবার আবার তাঁর বাড়ির কিছু দূরেই পরপর চলল দু’রাউন্ড গুলি। তবে গুলি সাবিত্রী মিত্রের বাড়িতে লাগেনি। ওই গুলি চলার ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা শিউরে ওঠেন। এমনকী শুটআউটের ঘটনায় মালদায়(Malda) এখন তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। গুলিবিদ্ধ হন এক ব্যক্তি। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্দার করা হয়েছে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু মানুষজন আতঙ্কে ভুগছেন।
এদিকে গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির নাম বিপ্লব ঘোষ। মালদার ইংরেজবাজার পুরসভা অন্তর্গত এলাকায় এই নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাট পুড়াটুলি এলাকায় শনিবার রাতে বিপ্লব ঘোষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাজার যাচ্ছিলেন। এই বিপ্লব ঘোষ থাকেন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের বাড়ির কাছেই। তখন তিনি দেখতে পান পাড়ায় একদল যুবকের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেটা জানতে গেলে পকেট থেকে বন্দুক বের করে উত্তম মণ্ডল নামে এক যুবক গুলি চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর দুই রাউন্ড গুলি করা হয়। তার জেরেই গুলিবিদ্ধ হন বিপ্লব ঘোষ।
ওই যুবকরা কি বিধায়ককে মারার ছক কষছিল? পকেটে আগ্নেয়াস্ত্র কেন ছিল? বিপ্লব ঘোষ সামনে পড়ে গিয়েছে। আসল লক্ষ্য তাহলে কে ছিল? এই প্রশ্ন এখন ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের বাড়ির কাছেই এই ঘটনা ঘটেছে। সেক্ষেত্রে কোনও বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ওই চারজনকে এখন দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি এলাকায় বহিরাগতদের তাণ্ডব বাড়ছে। সেখান থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত। রাত অন্ধকারে নেশার আসর এবং খুনের ছক সবই এখান থেকেই ঘটে। এই ঘটনার পরই ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এই ঘটনা পুলিশ কর্তাদেরও ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ ফেব্রুয়ারি মাসে মালদা জেলার ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত ধরমপুর এলাকার নিকট রাজ্য সড়কের উপর পথ দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। বিধায়কের গাড়ির বিপরীত দিক থেকে আসা আর একটি গাড়ি সাবিত্রী মিত্রের গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। তারপর বিধায়ককে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রাণনাশের আশঙ্কা করেছিলেন সাবিত্রী মিত্র। এবার বিধায়কের বাড়ির কিছু দূরেই গুলি চালনার ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।