আইপিএলের ম্যাচে চিপকে গিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে দুরমুশ করে এসেছে রাহানের দল। আইপিএলের শুরুর আগে রাহানের অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল । আদৌ তিনি টি২০র ক্ষেত্রে সঠিক ক্রিকেটার এবং কেকেআরের যোগ্য অধিনায়ক কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। তবে প্রথম ছয় ম্যাচের পর যদি দেখা যায়, তাহলে আজিঙ্কা রাহানেই নাইট রাইডার্সের সেরা ব্যাটার, আর আইপিএলের সর্বোচ্চ রান স্কোরারের তালিকায় তাঁর জায়গা এখন চতুর্থ স্থানে।
স্রেফ ব্যাটার হিসেবেই নয়, ফিল্ডিং এবং অধিনায়কত্বের দিক থেকেও রাহানে নজর কেড়েছেন। যেদিন দলের বাকিরা একটু ভালো খেলে দিচ্ছেন, সেদিন তিনি লড়ে ম্যাচ বের করে দিচ্ছেন নিজের ট্যাকটিক্স দিয়ে। তাই জন্যই তো চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ৫৯ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জয়ের পর স্বয়ং শাহরুখ খানই রাহানেকে তকমা দিয়েছেন একজন সত্যিকারের অলরাউন্ডারের।
কেকেআরের সহকারী কোচ ওটিস গিবসন বলেন, ‘আমরা অনেক সময়ই শুনতে পাই, কোনও দলের একজন রোল মডেল। মানে অন্য দল থেকে আমরা কাউকে রোল মডেল হিসেবে বেছে নি, নিজের দলের কারোর দিকে তাকাই না। সেটা এমএসডি হতে পারে, কোহলি হতে পারে। যে কেউ হতে পারে। কিন্তু আমার কাছে রোল মডেল জিঙ্কস। এই ড্রেসিং রুমের সবার কাছেই জিঙ্কস রোল মডেল একজন ব্যাটার হিসেবে। ’
ওটিস এর কারণ হিসেবে বলেন, ‘ কারণ যখন আমরা মাঠে নামি বা রোস্টার তৈরি করি, কে কখন ব্যাটিং করবে, তখন রাহানে ২০ মিনিট হাতে নেয়। সেই সময়টায় আমাদের থেকে থ্রো ইন নেয়। ও কিন্তু কখনই বল আকাশে মেরে খেলে না তখন। এরপর যখন খেলা শুরু হয়, তখন ও কিন্তু জানে যে ওর টেকনিকগুলো কোন কোন জায়গায় ভালো। ওর স্ট্রাইক রেট ১৫০র বেশি। ও ব্যাটিংয়ের সময় নিজের এই টেকনিকগুলোর জন্যই অনেক আত্মবিশ্বাস পায়, মাঠে খেলার সময় ধৈর্য দেখাতে পারে। তাই আমার কাছে, তরুণ প্রজন্মের ব্যাটারদের কাছে ওই রোল মডেল। ’
এরপর খোশ মেজাজে থাকা কেকেআরের ড্রেসিংরুমে আরও মজাদার কথা বলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার মইন আলি। তিনি বলেন, ‘ আমি গিবসনের সঙ্গে একমত, রাহানে সবার কাছেই এক অসাধারণ রোল মডেল। তবে আমার রোল মডেল হল সুনীল নারিন, কারণ ও প্রথম বল থেকেই ছয় মারতে পারে ’। ইংরেজ তারকার মুখে এই কথা শুনে হাসিতে ফেটে করে কেকেআরের ক্রিকেটাররা।