আগেই জানা গিয়েছিল তুর্কমেনিস্তানের আর্কাদাগে খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে ইস্ট বেঙ্গল(EastBengal)। এএফসি লিগ খেলার আগে প্রায় বন্দিদশার মধ্যে পড়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানেই যেন ত্রাতার কাজ করলেন শাহরুখ খান। কিং খান ম্যাজিকেই অবস্থার বেশ অনেকটাই বদল ঘটল। কিন্তু কী ঘটেছে?
শাহরুখের জন্য অবস্থার উন্নতি ইস্ট বেঙ্গলের, কেন?
রবিবার আর্কাদাগে পৌঁছানোর পর জল থেকে শুরু করে খাবার সহ সমস্ত জিনিস নিয়েই বিপাকে পড়তে হয়েছে ইস্ট বেঙ্গলকে। কিন্তু রাত পোহাতেই অবস্থার যেন অনেকটাই বদল ঘটল। আর তার নেপথ্যে শাহরুখ খান। হ্যাঁ, একেবারেই ঠিক দেখছেন। শাহরুখ খানের জন্যই বিদেশ বিভূঁইয়ে যে সমস্যায় পড়েছিল ব্রুজোর দল সেটা অনেকটাই কমেছে।
আসলে আর্কাদাগের স্থানীয়রা দারুণ শাহরুখ ভক্ত। বলা ভালো অন্ধ ভক্ত। তাঁরা যখন জানতে পারেন যে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের তরফে কিং খানকে আজীবন সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে, সম্মানিত করা হয়েছে তখনই তাঁদের ব্যবহারে বদল লক্ষ্য করা গিয়েছে কিছুটা। কিন্তু তাই বলে তাঁদের বন্দিদশা যে একেবারেই ঘুচে গিয়েছে সেটা নয়।
তবে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের সদস্যরা যখন লাঞ্চ বা ডিনার করতে আসছেন তখন তাঁদের জন্য খাবার জায়গায় কিং খানের গান বাজানো হচ্ছে। রবিবারের তুলনায় উন্নত হয়েছিল সোমবারের খাবার। শুধুই কি তাই! জলের সমস্যা পুরোপুরি না মিটলেও, অনেকটাই মেটানো হয়েছে। এমনকি রবিবারের তুলনায় অনেকটাই ভালো ব্যবহার করা হচ্ছে ব্রুজোর দলের সঙ্গে। এবার এর নেপথ্যে তাঁদের শাহরুখ প্রেম নাকি অন্য কারণ সেটা যদিও স্পষ্ট নয়।
তবে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের সদস্যরা এখনও তাঁদের পাসপোর্ট ফেরত পাননি। যে মাঠে তাঁদের অনুশীলন করার কথা সেটার অবস্থাও বেহাল। যে কোনও মুহুর্তে পায়ে চোট লাগতে পারে।
কী ঘটেছিল ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে?
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ খেলতে তুর্কমেনিস্তানে পৌঁছিয়েই তুমুল সমস্যায় পড়ে ইস্টবেঙ্গল। প্রথমেই তাদের জেরবার হতে হয় বিমানবন্দরে। প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র থাকা সত্বেও নানা অজুহাতে ইমিগ্রেশনের জন্য প্রায় আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে বের হয়ে ঘণ্টাখানেকের বাস জার্নির পর তারা পৌঁছয় ৩০ কিলোমিটার দূরে আর্কাদাগে। সেখানেই পৌঁছানোর পর থেকে কার্যত শুরু হয় বন্দিদশা। ইস্টবেঙ্গল দল হোটেলে ঢোকার পরেই সবার পাসপোর্ট জমা নিয়ে নেওয়া হয়। খবরানুযায়ী, হোটেল রুমে নাকি রুমে সামান্য টুথপেস্ট, ব্রাশ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ব্রেকফাস্ট করতে গিয়ে ফুটবলাররা দেখেন, ডায়েট মেনে কোনও খাবার নেই। দুপুরে হোটেলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে মোটা চালের ভাত, পাতলা ডাল এবং একটি করে মাছ ভাজা। আগে থেকে বলা সত্ত্বেও ছিল না মাংস বা ডিমের কোনও পদ। ওয়াইফাইও অত্যন্ত স্লো। সব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্লক করা। ফুটবলাররা সামান্য বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলতেও পারছেন না। স্থানীয় সিম চাওয়াতে গোটা দলের জন্য মাত্র চারটি সিম কার্ড বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু সোমবার শাহরুখ ম্যাজিকে অবস্থার খানিক বদল ঘটে!