ইস্তফা ফড়ণবীস সরকারের মন্ত্রীর

Spread the love

সরপঞ্চ খুনে নাম জড়াতেই ইস্তফা দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা ধনঞ্জয় মুন্ডে। জানা গিয়েছে, ধনঞ্জয় মুন্ডের ঘনিষ্ঠ গ্রেফতার হতেই মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী। মঙ্গলবার ধনঞ্জয় মুন্ডের ব্যক্তিগত সহকারী প্রশান্ত জোশী মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসেন। ইতিমধ্যেই ধনঞ্জয়ের ইস্তফা গ্রহণ করেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘মুন্ডে আমাকে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। আমি এটি গ্রহণ করেছি এবং রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের কাছে পাঠিয়েছি।’

অন্যদিকে, এক্স পোস্টে ধনঞ্জয় মুন্ডে সরপঞ্চ হত্যা মামলার অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল প্রকাশিত ছবিগুলি দেখে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। এই ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এছাড়াও, একটি বিচারবিভাগীয় তদন্তের প্রস্তাব করা হয়েছে।’ ‘তাঁর শরীর ভালো নেই এবং চিকিৎসক তাঁকে শীঘ্রই চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য তিনি পদত্যাগ করেছেন।’

কী কারণে আচমকা পদত্যাগ করলেন ধনঞ্জয় মুন্ডে?

মহারাষ্ট্রের শীর্ষ এই নেতার পদত্যাগের পিছনে রয়েছে রহস্য। গত বছর ৯ ডিসেম্বর বিড জেলার মাসাজোগ গ্রামের সরপঞ্চ সন্তোষ দেশমুখ হত্যা মামলায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ধনঞ্জয় মুন্ডে। এরপরেই ২৭ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্র সিআইডি জেলা আদালতে ১,২০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করে। 

সিআইডি চার্জশিটে এনসিপি নেতার এক ঘনিষ্ঠ বাল্মিক করাডকের নাম উঠে আসে। এরপরে বাল্মিক করাড এবং তার ছয় সহযোগীকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। এরপরেই তড়িঘড়ি রাজ্যের মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন ধনঞ্জয় মুন্ডে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সরপঞ্চকে অত্যাচার ও হত্যার যে ১৫ ভিডিয়ো, ৮ ছবি, ২ ভিডিয়ো কলের কথা জানিয়েছে সিআইডি, সেটাই ধনঞ্জয়ের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে।

সিআইডি-র চার্জশিটে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বিডের সরপঞ্চ খুনের মূল ষড়যন্ত্রকারী হলেন বাল্মিক করাড। কারণ, জমি অধিগ্রহণ আধিকারিকের কাছ থেকে ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, আর সেই টাকা না পেতেই সরপঞ্চের খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন করাড। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ১১টি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। চার্জশিটে তাকে ‘গ্যাং লিডার’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ৯ ডিসেম্বর দোংগাঁও টোল প্লাজা থেকে একটি এসইউভিতে করে ৬ জন সরপঞ্চ সন্তোষ দেশমুখকে অপহরণ করে। সেই সন্ধ্যায় নান্দুর ঘাট রোডের দিকে তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপরেই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, সরপঞ্চ সন্তোষ দেশমুখকে গ্যাস পাইপ, লোহার রড, লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই ঘন্টার ধরে মারধর করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *