বিনোদন দুনিয়ায় ফের একটা খারাপ খবর। উত্তর গোয়ার সিওলিমের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এইই ফিল্ম প্রযোজকের দেহ। পুলিশ জানিয়েছেন, স্বনামধন্য তেলুগু ছবির প্রযোজক শঙ্করা কে পি চৌধুরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলা জানিয়েছে গোয়া পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, প্রযোজক শঙ্করা কৃষ্ণ প্রসাদ (কে পি) চৌধুরীর বয়স ৪৪ বছর। জানা যাচ্ছে, তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ থেকে কিছু দূরে গাছিবাউলির বাসিন্দা এই প্রযোজককে ২০২৩ সালে তেলেঙ্গানা পুলিশ মাদক মামলায় গ্রেফতার করেছিল।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ‘প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, কেপি চৌধুরী গত ৬-৭ মাস ওই ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। পরিচিতদের বক্তব্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল থেকে তিনি কোনও ফোন কল বা মেসেজের জবাব না দেওয়ায় তাঁর বন্ধুরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে তাঁরা ফ্ল্যাট মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর ওই ফ্ল্যাটের মালিকই কে পি চৌধুরীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তিনি সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন।’
জানা যাচ্ছে, তেলেঙ্গানার বাসিন্দা কেপি চৌধুরীর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক ডিগ্রি রয়েছে। তিনি পুণের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে অপারেশনের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৬ সালে তিনি ‘কাবালি’ সিনেমার মাধ্যমে ফিল্ম প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। দুটি তেলুগু সিনেমা, সর্দার গাব্বার সিং এবং সীতাম্মা ভাকিটলো সিরিমাল্লে চেট্টু এবং তামিল সিনেমা কানিতানের পরিবেশনা স্বত্বও অর্জন করেন।
পুলিশ দাবি করেছে, ফিল্ম প্রযোজক হিসাবে কাজ করার সময় সিনেমার দুনিয়ার যে বহু তারকার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। পরে তিনি গোয়ায় চলে যান এবং একটি ক্লাব শুরু করেন।