কিছুদিন আগেই আচমকাই ভাইরাল হয়ে যায় উদিত নারায়ণের চুমু খাওয়ার ভিডিয়ো। স্টেজে পারফর্ম করতে করতেই এক অনুরাগীকে জড়িয়ে তাঁর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেন। সেই ঘটনার পর উসকে যায় বিতর্ক। কিন্তু জানেন কি গায়কের প্রথম স্ত্রী তাঁর নামে একাধিক বিয়ের অভিযোগ এনেছিলেন? হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন। তিনি জানিয়েছিলেন উদিত নারায়ণ তাঁকে ডিভোর্স না দিয়েই তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী দীপাকে বিয়ে করেন।
কী অভিযোগ করেছিলেন উদিত নারায়ণের প্রথম স্ত্রী?
উদিত নারায়ণ ১৯৮৫ সালে রঞ্জনা নামক এক মহিলাকে বিয়ে করেন। সেই মহিলা বিহারের বাসিন্দা। সেই সময় উদিত নারায়ণের অত নাম ডাক ছিল না। ফলে তাঁর এই বিয়ের কথা অনেকেই জানতেন না। এরপর ভাগ্যান্বেষণ করতে মুম্বই পাড়ি দেন তখন উদিত। বিহারেই রেখে যান স্ত্রী রঞ্জনাকে। এরপর মুম্বই গিয়ে তিনি প্রেমে পড়েন দীপা গহত্রাজের। তিনিও একজন গায়িকা ছিলেন। নেপালের বাসিন্দা, কিন্তু মুম্বই এসেছিলেন গায়িকা হতে। তাঁদের সেই প্রণয় গড়ায় পরিণয়ে। কেবল বিয়ে নয়, দুজনের একটি ছেলেও হয়। অর্থাৎ আদিত্য নারায়ণ, যিনি বর্তমানে বলিউডের সুপ্রতিষ্ঠিত গায়ক এবং সঞ্চালক।
মনে করা হয়, উদিত নারায়ণের দ্বিতীয় স্ত্রী দীপা দীর্ঘদিন তাঁর প্রথম বিয়ের কথা জানতেন না। ২০০৬ সালে উদিত নারায়ণ যখন পাটনায় শো করতে যান তখন সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে গায়কের হোটেল রুমে ঢুকে তাঁর মুখোমুখি হন রঞ্জনা। সেই সময়ই সব সত্য প্রকাশ্যে আসে। তিনি জানান উদিত নারায়ণ তাঁকে ভয় দেখাতেন যে তিনি মুখ খুললে উনি আত্মহত্যা করবেন। দীপাকে বিয়ে করার বিষয়টাও দীর্ঘদিন আড়ালে রেখেছিলেন তিনি।
যদিও এই সমস্ত দাবি উড়িয়ে দেন উদিত নারায়ণ। জানান যে তিনি রঞ্জনাকে নাকি চেনেন না। যদিও পরবর্তীতে লাগাতার আইনি চাপের মধ্যে পড়ে গায়ক স্বীকার করতে বাধ্য হন যে তিনি রঞ্জনাকে বিয়ে করেছিলেন। জানিয়েছিলেন যে আইনি ভাবেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল এবং এই বিয়ের কথা তিনি কখনও প্রকাশ্যে আসুক চাননি। রঞ্জনা জানিয়েছিলেন, ‘উনি আমাদের দুজনকে একসঙ্গে রাখতে চেয়েছিলেন। একজন স্ত্রী যা যা পায় আমি সব পেয়েছিলাম।’
ফলে বোঝাই যাচ্ছে এই বিতর্ক নতুন না। এর আগেও ব্যক্তিগত জীবনের কারণে নানা সময় লাইমলাইটে উঠে এসেছেন উদিত নারায়ণ।