আবারও বিস্ফোরণ! এবারের ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ঢোলাহাট থানার ঘেরি এলাকা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, একটি নয়, একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কারণ, স্থানীয় বাসিন্দারা পর পর বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদ সূত্রে এখনও পর্যন্ত যেটুকু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে – এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির প্রাণহানিও ঘটতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ইদ উপলক্ষে ছুটির দিন থাকায় স্বাভাবিকভাবেই অন্য়ান্য দিনের মতো ব্যস্ততা ছিল না। কিন্তু, সেই শান্তি হঠাৎই খানখান হয়ে যায় – এদিন রাতে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে। সেই শব্দ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পুরো এলাকা যেন কেঁপে ওঠে!
প্রথমে গ্রামবাসী হতচকিত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও কিছুক্ষণ পর তাঁরা দেখেন, এলাকারই একটি বাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। মনে করা হচ্ছে, ওই বাড়িতেই একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে গ্রামবাসীই ওই আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে পরিবারের পাঁচজন সদস্য ছিলেন। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, এই ভয়াবহ ঘটনায় তাঁরা সকলেই হয় মারা গিয়েছেন, কিংবা গুরুতর জখম হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু জানা যায়নি। পুরোটাই এলাকাবাসীর আশঙ্কা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশও পৌঁছয়।
আরও জানা গিয়েছে, যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেই বাড়ির সদস্যদের উদ্ধার করারও চেষ্টা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু, তাঁদের সেই প্রচেষ্টা আদৌ সফল হয়েছে কিনা, সেটা এখনও পর্যন্ত অন্তত জানা যায়নি। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এখনও আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, একের পর এক এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটল কীভাবে? তা নিয়ে ইতিমধ্য়েই জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, রান্নার গ্য়াসের সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। কিন্তু, তাহলে একাধিকবার বিস্ফোরণের শব্দ কি শোনা যাবে? স্থানীয় বাসিন্দারাই এই প্রশ্ন তুলছেন। আরও একটি সূত্র মারফত আশঙ্কা করা হচ্ছে, হয়তো ওই বাড়িতে বাজি মজুত করা ছিল। তার জেরেই একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়ে থাকতে পারে।
কিন্তু, এসবই হল আসলে প্রাথমিক অনুমান। তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, আগুন নেভার পর বিস্তারিতভাবে তদন্ত না করা পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। এবং এক্ষেত্রে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের রিপোর্টেই বিস্ফোরণ সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে।