এবার খোদ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় ত্রিপল চুরি কাণ্ড দেখা দিয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় এমন অভিযোগ বহুবার শোনা গিয়েছে। কিন্তু কলকাতার বুকে তাও আবার জনবহুল বইমেলা থেকে ত্রিপল চুরির ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এই ত্রিপল চুরির সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত হয়ে গিয়েছে। আজ, মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বইমেলায় এসএফআই–এর স্টল থেকে ত্রিপল চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। সুতরাং পরিষ্কার রাজনীতির গন্ধ আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতির বইমেলায় গতকাল পর্যন্ত ১৩ লাখ মানুষ এসেছেন। যাঁদের বইপ্রেমী বলা হয়। আজ সেই অঙ্ক অনায়াসে ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে কলকাতা বইমেলায় এসএফআই–এর মুখপত্র ছাত্র সংগ্রামের স্টল থেকে ত্রিপল চুরি হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই সংগঠনের সদস্যদের দাবি, গতকাল সোমবার রাতে ত্রিপল লাগিয়ে স্টল বন্ধ করে যাওয়া হয়। কিন্তু আজ, মঙ্গলবার এসে দেখছে ত্রিপল নেই। তা চুরি হয়ে গিয়েছে। কে বা কারা করল তা এখনই জানা যাচ্ছে না। তবে ত্রিপল বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকেই খোয়া গিয়েছে।
এই ঘটনা বইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বাম ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, ৪০ হাজার টাকার উপর খরচ করে স্টল করতে হয়েছে। তার জন্য প্রচুর টাকা নিয়েছে গিল্ড কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, বইমেলায় ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সুরক্ষার তো কোনও ব্যবস্থাই নেই। ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় শুরু থেকেই মারাত্মক ভিড় হচ্ছে। রবিবার ও সোমবার দু’দিনই উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় কলকাতা বইমেলায়। সরস্বতী পুজোয় ছুটি দিন পড়ে যাওয়ায় বইপ্রেমী মানুষ ভিড় জমান বইমেলায়। আর এই মেলাতেই ত্রিপল চুরির অভিযোগ উঠল। যা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। ত্রিপল চুরির পর বইও চুরি হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এই বিষয়ে এসএফআই–এর রাজ্য কমিটির সহ–সভাপতি শুভজিৎ সরকার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘প্রত্যেক বছর আমরা বইমেলায় স্টল দিই। অনেক টাকা তার জন্য খরচও হচ্ছে। এত টাকা খরচার পরও চুরি? গতকাল ত্রিপল লাগিয়ে গিয়েছি। আজ দেখছি নেই। এখন ত্রিপল গেল। এবার বই চুরি হযে যাবে। পরে আরও দামি কিছু খোয়া যাবে। গিল্ড কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ভালই থাকে প্রত্যেকবার। এবার নিরাপত্তা কোথায় গেল?’