কংগ্রেসে ফিরে বললেন প্রণবপুত্র অভিজিৎ

Spread the love

কংগ্রেসে ফিরলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। বুধবার কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধানভবনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের উপস্থিতিতে কংগ্রেসে ফেরেন তিনি। প্রায় ৪ বছর পর কংগ্রেসে ফিরলেন তিনি। দলবদল করে পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সমালোচনা না করলেও অভিজিৎবাবু বললেন, কংগ্রেস ছেড়ে ভুল করেছিলাম। সেজন্য ক্ষমা চাইছি। 

২০২১ সালের ৫ জুলাই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন অভিজিৎবাবু। তার পর যদিও তৃণমূলে কোনও দিনই তেমন সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি তাঁকে। তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অন্তরালে চলে গিয়েছেন বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এরই মধ্যে মঙ্গলবার জানা যায় বুধবার কংগ্রেসে ফিরতে চলেছেন অভিজিৎবাবু। 

বুধবার কংগ্রেসে ফিরে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন আগেই কংগ্রেসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন কারণে হয়ে ওঠেনি। দেরি হয়ে গেল। আজ কংগ্রেস পার্টিতে ও রাজনীতিতে দ্বিতীয় জন্ম হল আমার। আমি ২০১১ সালের মে মাসে এখানেই কংগ্রেস পার্টিতে যোগদান করেছিলাম। ধরে নিন যে আমি এতদিন কংগ্রেস থেকে ছুটিতে ছিলাম। আমি কৃতজ্ঞ যে পুনরায় কংগ্রেস পার্টিতে যোগদান করার সুযোগ দিয়েছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাতি হিসাবে কংগ্রেস ছেড়ে একটা ভুল কাজ করেছিলাম। আমি সেজন্য ক্ষমা চাইছি। কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া আমার উচিত হয়নি। যে তিন জনের জন্য আমার কংগ্রেসে আসা সম্ভব হল তাঁরা হলেন ম্যাডাম সোনিয়া গান্ধীজি, রাহুল গান্ধীজি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীজি।’

অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের কংগ্রেসে ফেরাকে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে দলের রণনীতির অংশ বলে মনে করছেন অনেকে। তাদের দাবি, দিল্লি ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বুঝিয়ে দিয়েছে ক্ষমতায় আসার শক্তি না থাকলেও কংগ্রেসের হাত না ধরলে ভরাডুবি হতে পারে বিজেপি বিরোধী দলগুলির। যেমনটা হয়েছে কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে। তাই এবার সমস্ত রাজ্যে নিজেদের ভাগ বুঝে নিতে চায় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। আর সেই অভিযান শুরু হতে পারে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন দিয়ে। 

২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় আসার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল কংগ্রেসের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিল কংগ্রেস। তবে তার পর থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের দূরত্ব বাড়তে থাকে। কংগ্রেসকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে গোটা ক্ষমতা আঁকড়ে ধরেন মমতা। সম্প্রত অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে শুভঙ্কর সরকারকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এর পর তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে মনে করেছিলেন অনেকে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেরকম হওয়ার কথা আর ভাবছেন না কেউই। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *