কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) বরুণ চক্রবর্তীর পরিচিতি মূলত তাঁর ‘মিস্ট্রি স্পিন’-এর জন্য। নিজের রহস্য স্পিন দিয়ে আইপিএলে একের পর এক ব্যাটারকে ফাঁদে ফেলেছেন বরুণ। তবে এবার বরুণ ফিরে গেলেন তাঁর পুরনো পেশায়। আইপিএল ২০২৫-এর মাঝেই আর্কিটেক্ট হিসেবে নিজের রাজ্যে ফিরলেন বরুণ। কেকেআরের এই স্পিনার সম্প্রতি এক ক্লায়েন্টের জন্য সাইট ভিজিটে গিয়েছিলেন, যেখানে তাঁকে দেখা যায় কনস্ট্রাকশন সাইটে একটি হার্ড হ্যাট পরে।
বরুণ তাঁর অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই ছবিগুলি শেয়ার করেছিলেন। ছবিগুলোতে দেখা যায়, তিনি চেন্নাইয়ের একটি নির্মাণস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ক্রিকেটকে পূর্ণকালীন পেশা হিসেবে নেওয়ার আগে, বরুণ প্রায় দুই বছর আর্কিটেক্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন এবং সেখান থেকেই তাঁর আইপিএল যাত্রা শুরু করেছিলেন।
আর্কিটেকচারের প্রতি বরুণের ভালোবাসা
কেকেআরের একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে বরুণ বলেছিলেন, আর্কিটেকচারে এতটাই নিমগ্ন ছিলেন যে তখন ক্রিকেট দেখা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বরুণ জানান, ‘আমি এসআরএম কলেজ, কাট্টানকুলাথুর-এ পড়াশোনা করেছি। আমি আর্কিটেকচার নিয়ে পড়েছিলাম। এটা পাঁচ বছরের প্রফেশনাল কোর্স।’ বরুণ কেকেআরের ওয়েবসাইটে জানিয়েছিলেন, ‘এটা ছিল একেবারে আলাদা এক জগৎ। কম্পিউটার, টি-স্কেল, ড্রইং, চার্ট পেপার এসব নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম।’
এরপরে বরুণ বলেন, ‘আমি তখন কোনও ম্যাচও দেখতাম না, (তবে) ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা সবসময়ই ছিল। বাড়ির ডিজাইন করার সময়, আমি সবসময়ই কোনও না কোনওভাবে ক্রিকেটকে সেই কনসেপ্টে নিয়ে আসতাম। আর্কিটেকচার মানেই হল লাইন আর অ্যাঙ্গেল। আর বোলিংও তো তাই, লাইনের ওপর, লেন্থ, অ্যাঙ্গেল… এইভাবে দুটোকে যুক্ত করতে পারতাম। এমনকি আমার পঞ্চম বছরের থিসিসও ছিল একটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম!’ এরপরে বরুণ বলেন, ‘আর্কিটেকচার শেষ করার পর প্রায় দশ মাস কোনও কাজ করিনি, শুধু বাড়িতেই ছিলাম আর ভাবছিলাম জীবনে কী করব।’
তবে শুধু আর্কিটেক বা ক্রিকেটারই নয়, এর মাঝে বরুণ চক্রবর্তীকে অভিনয় করতেও দেকা গিয়েছে। বেশ কিছু রিপোর্টে বরুণের অভিনয় করার কথাও বলা হয়েছে। অর্থাৎ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বরুণের মধ্যে একাধিক প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে।বরুণ সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেছেন, সেখানে তিনি ৯টি উইকেট শিকার করেন। সেই ফর্ম তিনি ধরে রেখেছেন আইপিএলেও। এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত কেকেআরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনিই। তিনি ৪ ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৬টি উইকেট নিয়েছেন।